শ্রমিক-কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের ২৫ কোটি ২২ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দেওয়া অভিযোগপত্র ও পরোয়ানার বিষয়ে হাজিরা ও আত্মসমর্পণ করতে ৩ মার্চ বিচারিক আদালতে যাবেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
Advertisement
বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) সুপ্রিম কোর্টের এনেক্স ভবনের সামনে ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তার আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন।
এর আগে শ্রমিক-কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের ২৫ কোটি ২২ লাখ টাকা আত্মসাতে গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গত ১ ফেব্রুয়ারি উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান আদালতে এ অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
মামলায় দুদক ১৩ জনকে আসামি করলেও অভিযোগপত্রে জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের দপ্তর সম্পাদক কামরুল হাসানের নাম যুক্ত করা হয়।
Advertisement
মামলার অন্য আসামিরা হলেন গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল ইসলাম, সাবেক এমডি আশরাফুল হাসান, পরিচালক পারভীন মাহমুদ, নাজনীন সুলতানা, শাহজাহান, নূরজাহান বেগম ও এস এম হাজ্জাতুল ইসলাম লতিফী, আইনজীবী ইউসুফ আলী ও জাফরুল হাসান শরীফ, গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি কামরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ মাহমুদ হাসান ও গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের প্রতিনিধি মাইনুল ইসলাম।
আসামিদের মধ্যে পারভীন মাহমুদ জামিনে রয়েছেন। বাকি ১৩ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা।
দুদকের সহকারী পরিচালক (প্রসিকিউশন) আমিনুল ইসলাম বলেন, অবহিতকরণের জন্য আজ অভিযোগপত্র আদালতে উপস্থাপন করা হয়েছে। আগামী ৩ মার্চ এ মামলার ধার্য তারিখ রয়েছে। সেদিনই এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানি হবে।
তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আসামিরা ২৫ কোটি ২২ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও অবৈধভাবে রূপান্তর করায় তাদের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ আনা হয়েছে।
Advertisement
গত বছরের ৩০ মে দুদকের উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী হয়ে ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাটি করেন।
এফএইচ/এমএইচআর/এএসএম