ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ৬০ কিলোমিটার অংশে প্রতিদিন ঘটছে কোনো না কোনো দুর্ঘটনা ঘটছে। এতে নিহত-আহত হওয়ার পাশাপাশি পঙ্গুত্ব বরণ করতে হচ্ছে অনেককে।
Advertisement
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ৬ মাসে মহাসড়কের শুধুমাত্র মিরসরাই অংশে প্রাণ হারিয়েছে অন্তত ২৫ জন নারী-পুরুষ। এসব দুর্ঘটনার জন্য সড়ক অব্যবস্থাপনা, যততত্র পার্কিং, অদক্ষ চালক, সতর্ক চিহ্ন না থাকাকে দায়ী করছেন অনেকে।
সরেজমিনে দেখা যায়, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ধুমঘাট থেকে সীতাকুণ্ড সিটিগেট পর্যন্ত অংশে ঝুঁকিপূর্ণ কয়েকটি দুর্ঘটনাপ্রবণ স্থানের মধ্যে রয়েছে মিরসরাই সদরের দক্ষিণ পাশের ইউটার্ন, বারইয়ারহাট উত্তর ও দক্ষিণ পাশের ইউটার্ন, মিঠাছরা, সীতাকুণ্ড, কুমিরা ইউটার্ন। এসব অংশে ডিভাইডারের কয়েক ফুট থাকলেও উত্তর পাশে মাত্র কয়েক ইঞ্চি ডিভাইডার সারি।
এসব স্থানে কদিন পর পর দুর্ঘটনা ঘটছে। এসব ইউটার্নের কোনটিতে সতর্কতা চিহ্ন থাকলেও বেশিরভাগই অরক্ষিত। ধুমঘাট থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত বেশিরভাগ ইউটার্নে সতর্কতা চিহ্ন নেই। বিএসআরএম ও চিনকি আস্তানা উত্তর পাশের ইউটার্নে সিগনাল বাতির সঠিক প্রয়োগ না থাকায় দুর্ঘটনা ঘটছে।
Advertisement
পিকআপ চালক নুরুজ্জামান বলেন, ইউটার্নে চালকরা যে যার মত গাড়ি চালায়। এতে প্রায় সময় দুর্ঘটনা ঘটে। এখানে ট্রাফিক সিগন্যালের প্রয়োজন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জোরারগঞ্জ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল সরকার জানান, আমরা সর্তকীকরণ লিফলেট বিতরণ করছি। আশা করছি আমরা ক্রমানয়ে দুর্ঘটনা হ্রাস করতে পারবো। সংস্করের পর এসব ইউটার্নে সর্তক চিহ্ন দেওয়া হবে।
এম মাঈন উদ্দিন/জেআইএম
Advertisement