আইন-আদালত

বায়তুল মোকাররম এলাকায় সভা-সমাবেশ বন্ধে আবেদন নিষ্পত্তির নির্দেশ

বায়তুল মোকাররম এলাকায় সভা-সমাবেশ বন্ধে আবেদন নিষ্পত্তির নির্দেশ

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম এলাকায় রাজনৈতিক সভা-সমাবেশ বন্ধ রাখার বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে করা আবেদন নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী ৯০ দিনের মধ্যে আবেদনটি নিষ্পত্তি করতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

Advertisement

হাইকোর্টের বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। গত ১৯ ফেব্রুয়ারি দেওয়া আদেশ প্রকাশ পায় ২৫ ফেব্রুয়ারি।

মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন রিটকারী আইনজীবী ব্যারিস্টার মো. সানোয়ার হোসেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ব্যারিস্টার মো. সানোয়ার হোসেন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়। তার সঙ্গে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সেলিম আযাদ ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আনিচুল মাওয়া আরজু।

Advertisement

ব্যারিস্টার মো. সানোয়ার হোসেন বলেন, রিটের কারণ হলো আমাদের সংবিধানের ৪১ এ বলা আছে- প্রত্যেকের ধর্মবিশ্বাস ধর্মীয় আচার-আচরণ করার স্বাধীনতা আছে। রাষ্ট্র নিশ্চিত করবে সে অবাধে ধর্মীয় আচার পালনের।

আরও পড়ুন>> বায়তুল মোকাররমে পুলিশকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ, আটক কয়েকজন

তিনি বলেন, যারা কর্মসূচিতে আসেন শুক্রবার জুমার নামাজের আগে বা পরে প্রায়সময়, অন্যান্য দিনেও জোহরের নামাজ শেষ হলেই মিছিল-সমাবেশের জন্য জড়ো হওয়া লোকজন ছুটে আসেন। মিছিল-স্লোগান শুরু করে দেন। তাতে সাধারণ মুসল্লিদের ইবাদতে বিঘ্ন ঘটে। মুসল্লিরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। এদিক-ওদিক ছোটাছুটিও করেন।

আইনবীজী আরও বলেন, নামাজ পড়তে এসে মুসল্লিরা আতঙ্কবোধ করেন। এমনকি ২০২১ সালের ২৬ মার্চ একজনের প্রাণও গেছে, গেটের আশপাশে। জাতীয় মসজিদে নিরাপত্তা না থাকলে সারাদেশের মসজিদেরে কথা কী বলবো?

Advertisement

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বায়তুল মোকারমের গেটে কোনো ধরনের সভা-সমাবেশ না করতে গত ৭ ফেব্রুয়ারি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ধর্ম মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে লিখিত আবেদন করা হয়। আবেদনের পরও পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় ১৩ ফেব্রুয়ারি সাংবাদিক আব্দুল্লাহ আল মামুন কৌশিকের পক্ষে রিট আবেদন করা হয়। ওই রিটের শুনানি নিয়ে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি আদালত এ আদেশ দেন।

এফএইচ/বিএ/এএসএম