আইন-আদালত

মিডিয়ার ভূমিকার কারণেও জিনিসপত্রের দাম বাড়ে

মিডিয়ার ভূমিকার কারণেও দেশে জিনিসপত্রের দাম বাড়ে বলে মন্তব্য করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম।

Advertisement

সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) ‘সাইবার নিরাপত্তা আইন ও আইন সাংবাদিকতা’ শীর্ষক এক কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনের দক্ষিণ হলে সদস্যদের জন্য ওই কর্মশালার আয়োজন করে ল রিপোর্টার্স ফোরাম (এলআরএফ)।

বাংলায় রায় ও আদেশের চর্চা ও প্রবণতা নিয়ে সংবাদ উপস্থাপনের দুটি দিক টেনে কর্মশালায় অংশগ্রহণকারী গণমাধ্যমকর্মীদের উদ্দেশে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম বলেন, ‘আপনারা যেকোনো নিউজকে ইতিবাচকভাবে দেখবেন।’

প্রসঙ্গক্রমে উদাহরণ টেনে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম বলেন, ‘দ্রব্যমূল্যের ব্যাপারে নিউজগুলো হয়। মিডিয়ার ভূমিকার কারণেও কিন্তু আমাদের দেশে জিনিসপত্রের দাম বাড়ে বলে মনে করি। সকাল আটটায় কোনো চ্যানেলে যদি বলে আজ খাতুনগঞ্জে পেঁয়াজের সংকট, সকাল ১০টায় দেখবেন যে কারওয়ানবাজারে ৩০ ভাগ দাম বেড়ে যায়। বিকেলবেলায় শ্যামবাজারে দাম ৪০ শতাংশ বেড়ে যাওয়ার সংবাদ হলে হাহাকার শুরু হয়ে যায়। ৮–১০টা টেলিভিশন যদি সারা দিন প্রচার করে ছোলার সংকট, পেঁয়াজের সংকট, রোজা আসছে, সয়াবিন তেল নেই, মজুত করা শুরু হয়ে যায়। মানুষও ঝাঁপিয়ে পড়ে। যেখানে দুই কেজি কিনলেই হয়, সেখানে সে ১০ কেজি কিনতে চায়। চাহিদা বেড়ে যায়। এখানে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করা যায়, বেশি কিনবেন না, কম কিনবেন, পর্যাপ্ত আছে।’

Advertisement

তিনি আরও বলেন, ‘বিচার অঙ্গন, আইন অঙ্গন ও বিচারক সম্পর্কে যেকোনো নিউজ আপনারা করতে পারেন। সেটি কিন্তু ইতিবাচকভাবেও উপস্থাপন করা যায়, যাতে মানুষের মনে কোনো নেতিবাচক ধারণা না হয়। বিচারকের আচার, আচরণ, ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে নিউজ করতে পারবেন না এসব কথা ঠিক না। কিন্তু সেটি পরিপূর্ণভাবে শতভাগ সত্য হতে হবে।‘

শিশুদের সংবাদ পরিবেশনের ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বনের ওপর গুরুত্ব দিয়ে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম বলেন, ‘শিশু আইন ও হাইকোর্টের রায়ে বলা আছে, শিশুদের সংবাদ পরিবেশনের ক্ষেত্রে যথেষ্ট সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। এদের পরিচয় যাতে প্রকাশ না হয়, ছবি যাতে না আসে।কিশোর গ্যাং গ্রেফতারে আইনি বাধা নেই। কিন্তু এদের ছবি দেওয়া, পরিচয় প্রকাশ করা এটি কিন্তু করা যাবে না।‘

ল রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি শামীমা আক্তারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আলোচনায় অংশ নেন হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ (এ এম) আমিন উদ্দিন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান।

এফএইচ/এসআইটি/জিকেএস

Advertisement