ইসরায়েলি হামালায় বিধ্বস্ত গাজা উপত্যকায় ক্ষুধার যন্ত্রণায় মাহমুদ ফাতুহ নামের দুই মাস বয়সী এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) গাজার আল-শিফা হাসপাতালে শিশুটি মারা যায়। রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ তথ্য জানায়।
Advertisement
আল শিফা হাসপাতালের এক চিকিৎসাকর্মী বলেন, মাহমুদ ফাতুহ নামের দুই মাস বয়সী এক শিশু অনাহারে মারা গেছে। শিশুটি তীব্র অপুষ্টিতে ভুগছিল।
আরও পড়ুন:
হুথিদের ওপর আবারও বিমান হামলা চালালো যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্য রাফায় বিমান হামলা শুরু ইসরায়েলের যুদ্ধপরবর্তী গাজার নিয়ন্ত্রণ রাখতে চায় ইসরায়েল গাজায় আবাসিক ভবনে ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৪০ জেরুজালেমে গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি, নিহত ৩‘২ মাসের রোগা একটি শিশু বিছানায় শ্বাস নেওয়ার চেষ্টায় ছটফট করছিল। এমন পরিস্থিতিতে একজন স্বাস্থ্যকর্মী শিশুটির কাছে ছুটে যান। কিছুক্ষণ ওই স্বাস্থ্যকর্মী জানান, মাহমুদ তীব্র অপুষ্টিতে ভুগে মারা গেছে।’ ওই স্বাস্থ্যকর্মী আরও বলেন, শুক্রবার এক নারী মুমূর্ষু শিশুটিকে নিয়ে হাসপাতালে আসেন। সেসময় তিনি তার কোলে থাকা বিবর্ণ শিশুটিকে বাঁচাতে সাহায্য করার জন্য চিৎকার করছিলেন।
Advertisement
‘আমরা শিশুটিকে দ্রুত হাসপাতালের ভেতরে নিয়ে যাই। সে তীব্র অপুষ্টিতে ভুগছিল। আমরা জানতে পারি, শিশুটি কয়েক দিন ধরে দুধ খায়নি এবং পর্যাপ্ত মায়ের দুধও পায়নি। আর গাজায় এখন শিশুদের খাওয়ার মতো কোনো দুধও নেই। চিকিৎসকরা তাকে দ্রুত আইসিইউতে নিয়ে গেলেও, শেষপর্যন্ত বাঁচানো সম্ভব হয়নি।’
আরও পড়ুন:
গাজা এখন মৃত্যুকূপ: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে দফায় দফায় হামলা চালিয়েছে হিজবুল্লাহ যুক্তরাষ্ট্রের ভেটোয় বাতিল হলো গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবএদিকে, শিশুদের পাশাপাশি গর্ভবতী নারীদের মধ্যেও অপুষ্টি বৃদ্ধির বিষয়ে সতর্কবাণী দিয়েছে জাতিসংঘ। সংস্থাটি বলেছে, উত্তর গাজার দুই বছরের কম বয়সী ১৫ শতাংশ বা ছয়জনের মধ্যে একটি শিশু তীব্র অপুষ্টিতে ভুগছে। তাছাড়া গাজার ২৩ লাখ মানুষ এখন দুর্ভিক্ষের মধ্যে রয়েছেন। গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলের হামলায় ২৯ হাজার ৬০৬ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এর মধ্যে অন্তত ১২ হাজার ৬৬০ শিশু ও ৮ হাজার ৫৭০ নারী রয়েছেন। এসব হামলায় আরও ৬৯ হাজার ৪৬৫ জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে ৭০ শতাংশের বেশি নারী ও শিশু।
সূত্র: আল জাজিরা
Advertisement
এসএএইচ