আন্তর্জাতিক

অবশেষে মায়ের হাতে তুলে দেওয়া হলো নাভালনির মরদেহ

অবশেষে মায়ের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে রাশিয়ার প্রয়াত বিরোধী নেতা আলেক্সি নাভালনির মরদেহ। কারাগারে বন্দি অবস্থায় ‘রহস্যজনক’ মৃত্যুর প্রায় এক সপ্তাহ পর তার মরদেহ পেলো পরিবার। শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) নাভালনির মুখপাত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

Advertisement

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কট্টর সমালোচক ছিলেন নাভালনি। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি উত্তর সাইবেরিয়ার একটি কুখ্যাত কারাগারে বন্দি অবস্থায় মারা যান তিনি। সেখানে বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগে ১৯ বছরের সাজা খাটছিলেন নাভালনি। যদিও সমর্থকদের দাবি, তার বিরুদ্ধে প্রতিটি মামলাই ছিল রাজনৈতিক দমনপীড়নের উদ্দেশ্যে।

আরও পড়ুন>>

কারাগারে রাশিয়ার বিরোধী নেতা নাভালনির মৃত্যু পুতিনের সমালোচক নাভালনির মরদেহ ‘গায়েব’ প্রিগোজিন থেকে নাভালনি/ পুতিনের সমালোচনা করে ‘রহস্যময় মৃত্যু’ হয়েছে যাদের

নাভালনির মুখপাত্র কিরা ইয়ারমিশ সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে (সাবেক টুইটার) বলেছেন, আলেক্সির মরদেহ তার মায়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। যারা এর জন্য আমাদের সঙ্গে দাবি জানিয়েছিলেন, তাদের সবাইকে ধন্যবাদ।

Advertisement

গত সপ্তাহে ছেলের মরদেহ নিতে ইয়ামালো-নেনেটস অঞ্চলের সালেখার্ড শহরে গিয়েছিলেন লিউডমিলা নাভালনায়া। কিন্তু তার কাছে নাভালনির মরদেহ দিতে অস্বীকৃতি জানায় কর্তৃপক্ষ।

নাভালনির দল শুক্রবার বলেছিল, তারা মরদেহ পাওয়ার জন্য মামলা করেছে। তারা আরও অভিযোগ করে, নাভালনির মা যদি ‘গোপন’ শেষকৃত্যে রাজি না হন, তাহলে তার ছেলের মরদেহ কারাগারেই সমাহিত করার হুমকি দিয়েছিলেন স্থানীয় তদন্তকারীরা।

আরও পড়ুন>>

এবার রাশিয়ার ওয়ান্টেড তালিকায় নাভালনির ভাই মাকে দেখতে দেওয়া হলো নাভালনির মরদেহ, গোপনে সমাহিত করার চাপ নাভালনিকে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে রাশিয়ায় চার শতাধিক আটক

তবে মরদেহ পাওয়ার পর নাভালনির শেষকৃত্য কবে কোথায় হবে তা এখনো স্পষ্ট নয়।

Advertisement

ইয়ারমিশ বলেছেন, লিউডমিলা ইভানোভনা এখনো সালেখার্ডে রয়েছেন। এ কারণে শেষকৃত্য স্থগিত রাখা হয়েছে। তবে আমরা জানি না, এটি পরিবারের ইচ্ছামতো হবে নাকি কর্তৃপক্ষ হস্তক্ষেপ করবে।

নাভালনির দল অভিযোগ করেছিল, রুশ কর্তৃপক্ষ একটি উন্মুক্ত শেষকৃত্যের উদ্যোগ আটকানোর চেষ্টা করেছে। ক্রেমলিনের ভয়, এ ধরনের আয়োজন নাভালনির আন্দোলনের সমর্থন ও পুতিন-বিরোধিতার প্রদর্শনীতে পরিণত হতে পারে।

সূত্র: এএফপিকেএএ/