পাকিস্তানের জাতীয় ও প্রতিটি প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচিত সদস্যদের শপথগ্রহণ আগামী ২৯ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সম্পন্ন হবে। এরপর শুরু হবে সরকার গঠনের প্রক্রিয়া। আর তা শেষ হতে হবে ২ মার্চের মধ্যে। এর পরবর্তী এক সপ্তাহের মধ্যে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করতে চায় পিএমএলএন-পিপিপি জোট। সূত্রের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি দৈনিক দ্য নিউজ।
Advertisement
সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, পাকিস্তানের সংবিধানের ৪১(৫) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, আসন্ন সিনেট নির্বাচনের আগে ৯ মার্চের মধ্যে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়টি বিবেচনা করছে শাহবাজ শরিফের পিএমএল-এন এবং বিলওয়াল ভুট্টো জারদারির পিপিপি।
আরও পড়ুন>>
অবশেষে জোট সরকার গঠনে শাহবাজ-বিলওয়ালদের ঐকমত্য জোট সরকারে শাহবাজই প্রধানমন্ত্রী, প্রেসিডেন্ট জারদারি দ্বিতীয় ধাপে সরকারে যোগ দিতে পারে পিপিপি৪১(৫) অনুচ্ছেদ অনুসারে, পাকিস্তানে প্রেসিডেন্ট পদ শূন্য হওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে নির্বাচন হতে হবে। কিন্তু জাতীয় পরিষদ ভেঙে দেওয়ার কারণে যদি ওই সময়ের মধ্যে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে না পারে, সেক্ষেত্রে সাধারণ নির্বাচনের ৩০ দিনের মধ্যে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করতে হবে।
Advertisement
সূত্র জানিয়েছে, পিপিপি, পিএমএল-এন ও তাদের অংশীদাররা চায়, বর্তমান সিনেটের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই আগামী ৮ মার্চ প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক। এরপর সিনেট নির্বাচন করতে চায় শাহবাজ-বিলওয়ালদের জোট।
আরও পড়ুন>>
সেনাবাহিনীকে দিয়ে পিপিপি’র ওপর চাপ বাড়াচ্ছে পিএমএল-এন! ইমরানপন্থি স্বতন্ত্র প্রার্থীরা যাচ্ছেন সুন্নি ইত্তেহাদ কাউন্সিলে অর্থছাড় বন্ধের অনুরোধ/ ইমরান খানের চিঠিকে পাত্তা দিলো না আইএমএফএর আগে, গত মঙ্গলবার পিএমএল-এন এবং পিপিপি ঘোষণা দেয়, তারা আসিফ আলি জারদারিকে প্রেসিডেন্ট এবং শাহবাজ শরিফকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী করার বিষয়ে সম্মত হয়েছে।
পিপিপি’র সিনেটর ফারুক এইচ নায়েক বলেছেন, সংবিধানের ৪১ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সাধারণ নির্বাচনের ৩০ দিনের মধ্যে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হওয়ার কথা। এর মানে হলো, আগামী ৯ মার্চের আগেই প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
Advertisement
কেএএ/