হজ করার জন্য বছরের একটি সময় নির্ধারিত হলেও ওমরাহ বছরের যেকোন সময় করা যায়। ইসলামে ওমরাহ অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ আমল। রাসুল (সা.) বলেছেন, এক ওমরাহর পর অন্য ওমরাহ উভয়ের মধ্যবর্তী সময়ের গোনাহের জন্য কাফফারাস্বরূপ। (সহিহ বুখারি: ১৭৭৩) আরেকটি হাদিসে রাসুল (সা.) বলেছেন, ওমরাহ দারিদ্র্য ও গোনাহ দূর করে দেয়, যেমন কামারের হাপরের আগুনে লোহা ও সোনা-রুপার ময়লা আগুনে দূর হয়ে যায়। (সুনানে তিরমিজি: ৮১০)
Advertisement
ওমরাহ করার নিয়ম হলো মিকাত থেকে ইহরাম বেধে ইহরাম অবস্থায় কাবার চারপাশে তাওয়াফ করা, সাফা-মারওয়ার মধ্যখানে সাত বার সাঈ করা, তারপর পুরুষরা নিয়ম অনুযায়ী মাথার চুল মুণ্ডন করা বা ছোট করা, নারীরা এক কর পরিমাণ চুল কাটা। এর মধ্যে ইহরাম পরিধান করা ও কাবা তাওয়াফ করা ফরজ। সাঈ করা ও মাথার চুল কাটা বা মুণ্ডন করা ওয়াজিব। এ কাজগুলোর মাধ্যমে ওমরাহ সম্পন্ন হয়।
ওমরাহ করতে গিয়ে কোনো নারী যদি তাওয়াফ করে ফেলে, তারপর তার পিরিয়ড শুরু হয়, তাহলে সাঈসহ ওমরাহর অন্যান্য কাজ সে পিরিয়ড অবস্থায়ই করতে পারবে। যদি তাওয়াফ করার আগেই কারো পিরিয়ড শুরু হয়, তাহলে সে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত অর্থাৎ যতদিন অপেক্ষা করা তার পক্ষে সম্ভব ততদিন অপেক্ষা করবে। যদি এ সময়ের মধ্যে তার মাসিক বন্ধ হয়ে যায় তাহলে পবিত্র হয়ে তাওয়াফ-সাঈ সম্পন্ন করবে।
যদি তার সফরের সময়কাল শেষ হয়ে আসে, কিন্তু পিরিয়ড বন্ধ না হয়, তাহলে সফরের শেষ দিকে ওই অবস্থায়ই ওমরাহর তাওয়াফ করে নেবে। তারপর ওমরাহর সাঈ করবে এবং চুল কেটে হালাল হয়ে যাবে। আর অপবিত্র অবস্থায় ওমরাহর তাওয়াফ করার কারণে একটি দম দেবে। অর্থাৎ হারাম এলাকায় একটি ছাগল বা দুম্বা জবাই করবে।
Advertisement
ওএফএফ/এএসএম