একুশে বইমেলা

বইমেলার শেষ শুক্রবারে ভালো বিক্রিতে খুশি লেখক-প্রকাশকরা

শেষ সপ্তাহে গড়িয়েছে অমর একুশে বইমেলা। আজ ছিল মেলার শেষ শুক্রবার। আগের দিন বিকেল ও রাতের গুড়িগুড়ি বৃষ্টিতে লেখক-প্রকাশকদের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছিল। শুক্রবার সকালে তা শঙ্কায় পরিণত করে মেঘাচ্ছন্ন আকাশ। তবে বেলা গড়াতেই মেঘ উধাও। দেখা মেলে সূর্যের, হাসি ফোটে প্রকাশক ও বিক্রয়কর্মীদের মুখে।

Advertisement

শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় শুরু হয় বইমেলার শিশুপ্রহর। বৃষ্টির শঙ্কা মাথায় নিয়েই শিশুদের নিয়ে হাজির হন অভিভাবকরা। সিসিমপুরের হালুম, ইকরি, শিকু ও টুকটুকির উপস্থিতিতে উচ্ছ্বসিত হয়ে ওঠে শিশুরা। তারা নাচ-গানে মাতিয়ে তোলে শিশুপ্রহর।

সিসিমপুরের আয়োজন শেষ হতেই শিশু ও অভিভাবকরা ভিড় করেন স্টলগুলোতে। রাতের বৃষ্টিতে কর্দমাক্ত শিশুচত্বরে ভোগান্তি হয়েছে অভিভাবক ও শিশুদের। পা টিপে টিপে হেঁটে হেঁটে মেলায় ঘুরেছে তারা। সামান্য ভোগান্তি থাকলেও আনন্দে কমতি ছিল না শিশুমনে।

শিশুরাজ্য স্টলের বিক্রয়কর্মী রাজু আহমেদ বলেন, ‘মেলার প্রথমদিকে খুব একটা বিক্রি হয়নি। ২১ তারিখ থেকে বিক্রি ভালো হচ্ছে। শঙ্কায় ছিলাম বৃষ্টি হলে আজ মেলায় উপস্থিতি কম হবে। সকাল থেকে আকাশও মেঘলা ছিল। তবে উপস্থিতি খুবই ভালো। বিক্রিও ভালো হচ্ছে।’

Advertisement

এদিকে, বেলা গড়াতেই মেঘ কেটে যায়। বিকেলে ভিড় বাড়ে বইমেলায়। স্টলে স্টলে ঘুরে ঘুরে বই কিনতে দেখা যায় নানান বয়সী মানুষকে। মেলার শেষ শুক্রবার হওয়ায় অনেকে পছন্দ করে রাখা বই কিনে নিয়েই ঘরে ফিরেছেন। আর ছুটির দিন শেষে ভালো বিক্রির সুখস্মৃতি নিয়েই ঘরে ফিরেছেন প্রকাশকরা।

কথা প্রকাশ প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী জসিম উদ্দিন বলেন, ‘সত্যি বলতে এবার শুরু থেকেই মেলায় তুলনামূলক বেচাকেনা ভালো। শেষ সপ্তাহটাও ভালো যাচ্ছে। এখন আবহাওয়া ভালো থাকাটা জরুরি। বৃষ্টি হলে মেলার পুরো মাঠটা কাদা হয়ে যাবে। মানুষ স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করবে না।’

ঐতিহ্য প্রকাশনীর আরিফুর রহমান নাঈম বলেন, ‘গতকালের (বৃহস্পতিবার) বৃষ্টিতে মেলায় ধুলাবালি কমে গেছে। আজকে বৃষ্টি হলে সেটা ভোগান্তির সৃষ্টি করতো। সেটা হয়নি, মানুষও অনেকে এসেছে। বই বিক্রি নিয়ে সন্তুষ্ট।’

অন্যদিকে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে যারা চাকরি করেন, তাদের অধিকাংশের সাপ্তাহিক ছুটি একদিন। সেটা শুক্রবার। ফলে মেলার শেষ শুক্রবারে বই কিনতে কিংবা ঘুরতে আসতে দ্বিধা করেননি পাঠক-দর্শনার্থীরা।

Advertisement

ধানমন্ডি থেকে স্বামী ও ছেলকে সঙ্গে নিয়ে মেলায় এসেছেন সানজিদা আক্তার। জানতে চাইলে তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘বিকেলে এসেছি। আবহাওয়া ভালোই ছিল। আজ না এলে আর হয়তো এ বছর বইমেলায় আসা হতো না। আমি এবং আমার স্বামী দুজনই প্রাইভেট সেক্টরে জব করি। ছেলের নবম শ্রেণিতে পড়ছে।’

সানজিদা বলেন, ‘আগে এক শুক্রবার মেলায় এসেছিলাম। সেদিন বেশি বই কেনা হয়নি। আজ ১১-১২টা বই কিনেছি। কিছু ছেলের পছন্দ, কিছু আমার পছন্দ। ওর বাবাও কিছু পছন্দ করেছে।’

এএএইচ/কেএসআর/এএসএম