৫০ বছরের বেশি সময় পর চাঁদে নতুন ইতিহাস গড়েছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রথমবারের মতো দেশটির ব্যক্তি মালিকানাধীন হিউস্টনভিত্তিক ইনটিউটিভ মেশিনস নামের একটি প্রতিষ্ঠানের প্রথম বাণিজ্যিক রোবট ওডিসিয়াস চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সফল অবতরণ করেছে। খবর বিবিসির।
Advertisement
ওই মহাকাশযানটি চাঁদে অবতরণের পর সংকেত পাঠিয়েছে। এরপরেই ফ্লাইট ডিরেক্টর টিম ক্রেন বলেন, আমরা যা নিশ্চিত করতে পারি, তা হলো আমাদের মহাকাশযানটি চাঁদের পৃষ্ঠে রয়েছে এবং আমরা সফল হয়েছি।
ওই মহাকাশযানটির চাঁদে অবতরণের খবর প্রকাশ হওয়ার পর পরই এর কর্মীরা হাততালি দিয়ে উল্লাসে মেতে ওঠেন। এটা শুধুমাত্র বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের জন্যই নয় বরং সামগ্রীকভাবেই মার্কিন মহাকাশ কর্মসূচির জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ।
১৯৭২ সালে প্রথম অ্যাপোলো মিশনের সফল অভিযানের পর দীর্ঘ ৫০ বছরের বেশি সময় ধরে যুক্তরাষ্ট্রের আর কোনো যান চাঁদে অবতরণ করেনি। চাঁদে গবেষণা চালাতে ছয়টি বৈজ্ঞানিক যন্ত্র স্থাপনের জন্য ওডিসিয়াসে রুম কিনেছিল মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা।
Advertisement
ওডিসিয়াস চাঁদে অবতরণের পরপরই নাসার প্রশাসক বিল নেলসন ইনটিউটিভ এই অভিযানের জন্য অভিনন্দন জানান। এ ঘটনাকে তিনি প্রতিষ্ঠানটির ‘বিজয়’ বলেও অভিহিত করেন।
বিল নেলসন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র আবার চাঁদে ফিরেছে। আজ মানব ইতিহাসে প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্রের একটি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান এই অভিযান শুরু করেছে এবং এর নেতৃত্ব দিয়েছে। আজ সেই দিন, যা নাসার শক্তি এবং বাণিজ্যিক অংশীদারত্বের প্রমাণ দিচ্ছে।
এই চন্দ্রাভিযানের শুরুর যাত্রাটা নিরবচ্ছিন্ন হলেও এক পর্যায়ে কিছু কারিগরি সমস্যা তৈরি হয়। ফলে এর কন্ট্রোলারদের বেশ বেগ পেতে হয়েছে।
আরও পড়ুন:
Advertisement
চাঁদে পা রাখা শেষ নভোচারীর মৃত্যু
চাঁদে এখন ঘুমিয়ে আছে চন্দ্রযান-৩
চাঁদে অবতরণে ব্যর্থ জাপানের মহাকাশযান
শুরুতে ওডিসিয়াসের উচ্চতা এবং গতিবেগ নিয়ন্ত্রণের রেজারগুলো ঠিকমত কাজ করছিল না। তবে সৌভাগ্যবশত, নাসার কিছু পরীক্ষামূলক লেজার থাকায় ইনটিউটিভের প্রকৌশলীরা সেগুলো ব্যবহার করতে সক্ষম হন। চন্দ্রযানটি সফল অবতরণের পর প্রথম দিকে কোনো সংকেত পাওয়া যাচ্ছিল না। তবে কিছু সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরই সংকেত পাওয়া গেছে।
টিটিএন