ব্যাঙ্গালুরুর এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়াম। এখানেই অস্ট্রেলিয়া এবং ভারতের মোকাবেলা করেছেন মুস্তাফিজুর রহমান। দুই ম্যাচে চার উইকেট। দলীয় সাফল্য না এলেও মুস্তাফিজ নিজেকে প্রমাণ করেছেন, ভারতের মাটিতে তিনি বেশ ফিট। সেই মাঠেই এবার আইপিএল মিশন শুরু করতে যাচ্ছেন বাংলাদেশের বিস্ময় পেসার। আগামীকালই স্বাগতিক রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর মুখোমুখি হচ্ছে মুস্তাফিজের সানরাইজার্স হায়দারাবাদ।আইপিএলের নবম আসরে এখনও মাঠে নামার অপেক্ষায় রয়েছে এই দুই দল। তবে, ধারণা করা হচ্ছে জমজমাট একটি লড়াই’ই হবে এই ম্যাচে। কারণ রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্সের বিগ থ্রি বনাম সানরাইজার্স হায়দারাবাদের পেস ব্যাটারি। বিরাট কোহলি, ক্রিস গেইল এবং এবি ডি ভিলিয়ার্স। নিঃসন্দেহে বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর তিন ব্যাটসম্যান। তারা তিনজনই যখন কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে একসঙ্গে খেলেন, তখন প্রতিপক্ষের কী অবস্থা হতে পারে তখন!ভাবনাটা অবশ্য সীমাবদ্ধ হতেই বাধ্য। এতবড় ব্যাটিং লাইনআপ নিয়ে যে তারা অনেক বড় সাফল্য পেয়েছে তা নয়, হয়তো দু’একটি ম্যাচ হয়েছে খুব বিস্ফোরক; কিন্তু কাংখিত শিরোপা ব্যাঙ্গালুরুকে এখনও এনে দিতে পারেননি তারা। তবুও বিগ থ্রির ওপর ব্যাঙ্গালুরুর অনেক আশা। যে কারণে আবার প্রি টুর্নামেন্ট ফেভারিটের তকমাও থাকে তাদের গায়ে।অপরদিকে সানরাইজার্স হায়দারাবে রয়েছে একঝাঁক পেস বোলার। তরুণ মুস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে ভারতীয় অভিজ্ঞ আশিস নেহরা, নিউজিল্যান্ডের ট্রেন্ট বোল্ট রয়েছে। তিনজনই আবার বাঁ-হাতি। সঙ্গে রয়েছেন গত আসরে সানরাইজার্সের হয়ে সফল বোলার ভুবনেশ্বর কুমার এবং মইসেস হেনরিক্স। রয়েছেন লেগ স্পিনার নরণ শর্মা। যে বোলিং লাইনআপ, তাতে ব্যাঙ্গালুরুর বিশাল এবং শক্তিশালি ব্যাটিং লাইনআপকে যে কোন সময় গুঁড়িয়ে দিতে সক্ষম সানরাইজার্স। ব্যাটিংয়েও পিছিয়ে নেই সানরাইজার্স। ওপেনিংয়ে ডেভিড ওয়ার্নার, শিখর ধাওয়ান। টপ অর্ডারে রয়েছেন কেন উইলিয়ামসন। দলটি মিস করবে যুবরাজ সিংকে। ৭ কোটি রুপিকে তারা কিনেছিল ভারতীয় এই অলরাউন্ডারকে। কিন্তু ইনজুরির কারণে খেলতে পারছেন না তিনি।তবে একাদশ নির্বাচনে মধুর সমস্যায় পড়তে হবে সানরাইজার্স হায়দারাবাদকে। বিদেশি কোটায় তারা খেলাতে পারবে চারজনকে। সে ক্ষেত্রে অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার তো থাকছেনই। টপ অর্ডারে থাকছেন কেন উইলিয়াসন। আরমাত্র দুই বিদেশিকে খেলাতে পারবেন তারা। সে ক্ষেত্রে ট্রেন্ট বোল্ট, মুস্তাফিজুর রহমান এবং মইসেস হেনরিক্সের মধ্যে একজনকে বাদ দিতে হবে। কাকে বাদ দেয়া হবে? হেনরিক্স গত আসরের পরীক্ষিত বোলার। বাঁ-হাতি ডানহাতি কম্বিনেশনের জন্য তাকে রেখে দেয়া হতে পারে একাদশে। তাহলে বাকি থাকল মুস্তাফিজ এবং বোল্ট। দু’জনই বাঁ-হাতি। কাকে নেয়া হবে দলে? যদিও মুস্তাফিজই এগিয়ে রয়েছেন এ ক্ষেত্রে। সর্বশেষ বিশ্বকাপ খেলার অভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ তিনি। বোল্ট ছিলেন সাইডলাইনে বসে। একই সঙ্গে ক্রিস গেইলের বিপক্ষে মুস্তাফিজের কার্যকরিতা বেশ। সুতরাং, তিনিই সুযোগ পেয়ে যেতে পারেন। কারণ, বিপিএলে মুস্তাফিজকে মাত্র এক বল মোকাবেলা করে বোল্ড হয়েছিলেন গেইল।সুতরাং, ব্যাঙ্গালুরুর এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে আইপিএল অভিষেক হচ্ছে মুস্তাফিজের- এটা প্রায় নিশ্চিত বলা যায়।আইএইচএস/এমএস
Advertisement