দেশজুড়ে

চট্টগ্রামে বিএডিসির গুদামরক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা

বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) প্রায় তিন কোটি টাকার সরকারি সার চুরি করে দুবাইয়ে পালানো প্রতিষ্ঠানটির গুদামরক্ষক (সার) মো. আল আমিনের (৩৪) বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুদক চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয় ১-এ মামলাটি দায়ের করেন কার্যালয়ের উপ-পরিচালক (সংযুক্ত) মো. ফজলুল বারী।

Advertisement

আল আমিন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্চারামপুর থানাধীন মায়ারামপুর উত্তর পাড়া গ্রামের মো. মোকারম হোসেনের ছেলে। দুদক চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ উপ-পরিচালক মো. নাজমুচ্ছায়াদাত মামলার বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, বিএডিসির গুদামরক্ষক (সার) মো. আল আমিনের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯, ৪২০ এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় মামলা হয়েছে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, বিএডিসি চট্টগ্রামের সার গুদাম টিজি-০১র গুদামরক্ষক ছিলেন মো. আল আমিন। গত বছরের ২৪ মার্চ মায়ের অসুস্থতার কথা উল্লেখ করে ই-মেইলে মিথ্যা ছুটির আবেদন করেন তিনি। ওইদিনই আল আমিন দুবাইয়ে চলে যান। এরপর তিনি যে গুদামের দায়িত্বে ছিলেন, সেটি সিলগালা করে দেয় বিএডিসি। পরে প্রতিষ্ঠানটির যুগ্ম পরিচালককে (সার) আহ্বায়ক করে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এই কমিটি ২০২৩ সালের ২৮ মে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ৯০ লাখ ১২ হাজার ৯০০ টাকা মূল্যের ১৩৬ টন ৫৮৫ কেজি টিএসপি সার এবং ১ কোটি ৯৫ লাখ ৪৭ হাজার ৮৭৭ টাকার ১৯১ মেট্রিক টন ৭৬৫ কেজি ডিএপি সারসহ মোট ২ কোটি ৮৫ লাখ ৬০ হাজার ৭৭৭ টাকার সারের ঘাটতি পাওয়া যায়। গুদামরক্ষক আল আমিন প্রতারণার মাধ্যমে এসব সার আত্মসাৎ করেন।

Advertisement

পরে দুদক চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১র অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা অনুসন্ধান করে অভিযোগের সত্যতা পান। এরপর অপরাধজনক বিশ্বাসভঙ্গের মাধ্যমে ক্ষমতার অপব্যবহার করে, অসৎ উদ্দেশ্যে প্রতারণার মাধ্যমে ২ কোটি ৮৫ লাখ ৬০ হাজার ৭৭৭ টাকার সার আত্মসাৎ করার অভিযোগ এনে মামলার সুপারিশ করে প্রধান কার্যালয়ে প্রতিবেদন দেন তিনি। গত ১২ ফেব্রুয়ারি মামলা করার অনুমোদন দেয় দুদক প্রধান কার্যালয়।

এমডিআইএইচ/কেএএ/