দেশজুড়ে

রেস্টুরেন্টের ফ্রিজে পচা-বাসি খাবার, লাখ টাকা জরিমানা

রান্নাঘরে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশসহ ফ্রিজে পচা-বাসি খাবার রাখার অপরাধে নওগাঁয় একটি রেস্টুরেন্টকে এক লাখ টাকা জরিমানা করেছে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ।

Advertisement

বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে শহরের রুবির মোড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে পঞ্চ হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টের মালিককে এই জরিমানা করা হয়। অভিযান পরিচালনা করেন বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সোহেল রানা।

বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ জানায়, অভিযানে রেস্টুরেন্টটির একই ফ্রিজে কাঁচা ও রান্না করা খাবার একত্রে রাখতে দেখা যায়। সেইসঙ্গে লেবেলবিহীন প্রচুর খাদ্যপণ্য মজুত করতে দেখা যায়। রেস্টুরেন্টটির রান্না করা মাংসের মধ্যে পশম ও মসলার মধ্যে তেলাপোকা পাওয়া যায়। এসময় মজুত করা বাসি-পচা খাবার, রান্নার কাজে ব্যবহৃত পচা রসুন, পোড়া তেল, মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্যসহ রেস্টুরেন্টটির অস্বাস্থ্যকর সব খাবার জব্দ করা হয়। পরে রেস্টুরেন্টের মালিকের উপস্থিতিতে নিরাপদ খাদ্য আইনে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

জেলা নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা চিন্ময় প্রামাণিক বলেন, হোটেল ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন সময় প্রশিক্ষণ ও সভা সেমিনার করে রান্না করা খাবার সংরক্ষণের ক্ষেত্রে রান্নার তারিখ ও সময় লিখে রাখতে বলা হয়েছিলো। কিন্তু ওই রেস্টুরেন্টের মালিক নোংরা পলিথিনের মধ্যে খাবারগুলো রেখে দিয়েছেন। তার মধ্যে কোনো তারিখ নেই আবার একই ফ্রিজে সব খাবার রাখা। এজন্য নিরাপদ এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া কুইন্স সুইটস অ্যান্ড পেস্ট্রি বেকারি এবং হাজির নজিপুর হোটেলকে সতর্ক করা হয়।

Advertisement

তিনি আরও বলেন, নিরাপদ খাদ্যের যে আইন রয়েছে খুবই শক্ত এবং জরিমানার পরিমাণও বেশি। সেজন্যই গত দুই বছর ধরে বোঝানোর চেষ্টা করা হয়েছে। পাশাপাশি রেস্টুরেন্টগুলো নিয়মিত মনিটরিং করা হয়েছে। এখন থেকে কোনো রেস্টুরেন্টে এই সমস্ত অপরাধ ধরা পড়লে তাদের জরিমানার আওতায় আনা হবে।

এ বিষয়ে সোহেল রানা জাগো নিউজকে বলেন, যেসব রেস্টুরেন্ট মালিকদের প্রশিক্ষণ ও সচেতন করার পরও কথা শুনছে না তাদের আমরা আইনের আওতায় আনছি। এরই ধারাবাহিকতায় আজকে পঞ্চ হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে তাদের এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানার টাকা তাৎক্ষণিক আদায় করা হয়েছে। আগামীতে পুরো জেলায় এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

মশিউর রহমান/এনআইবি/জেআইএম

Advertisement