দিনাজপুরের হাকিমপুরে অটোরাইস মিলে ডাকাতির ঘটনায় ছয়জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জেলে বসেই আসামিরা ডাকাতির পরিকল্পনা করেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
Advertisement
বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে দিনাজপুরের পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এতথ্য তুলে ধরেন পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার আহমেদ।
এর আগে ১ ফেব্রুয়ারি ভোরের দিকে হাকিমপুর উপজেলার বাসুদেবপুর এলাকার গণেশ প্রসাদ সাহার ইউনাইটেড রাইস মিলে নৈশপ্রহরীকে বেঁধে ডাকাতির ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানায়, গ্রেফতার ছয়জনই আন্তঃজেলা ডাকাতদলের সদস্য। ১০ জনের ডাকাতদল এ ঘটনা ঘটিয়েছে। বাকিদের গ্রেফতার করতে অভিযান চলমান।
Advertisement
গ্রেফতাররা হলেন দিনাজপুর সদর উপজেলার করিমুল্লাপুর গ্রামের আব্দুর রহিম ওরফে পোড়া রহিম (৬৮), উপশহর ৬ নম্বর ব্লকের শামি ওরফে পবন (৪০), কসবা এলাকার আব্দুস সোহাগ (৩৪), শেখপুরা নিমনগর এলাকার বকুল হোসেন (৫০), চিরিরবন্দর উপজেলার ভাবকি গ্রামের ফরিদুল ইসলাম ওরফে মাছুয়া (৪৫) ও হাকিমপুর উপজেলার মধ্য বাসুদেবপুর গ্রামের আলিম হোসেন (৪০)।
গত ১৫ ফেব্রুয়ারি দিনগত রাত পৌনে ৩টার দিকে হাকিমপুর উপজেলার বাসুদেবপুর এলাকার গণেশ প্রসাদ সাহার ইউনাইটেড রাইস মিলে নৈশপ্রহরীকে বেঁধে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ১৭ ফেব্রুয়ারি মিলের মালিক বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। মামলার পর থেকে হাকিমপুর, দিনাজপুর, কোতোয়ালি ও ডিবি পুলিশ যৌথভাবে অভিযান শুরু করে। অভিযানে জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে ছয় ডাকাত সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ সুপার জানান, এ ডাকাতির ঘটনায় নেতৃত্বে ছিলেন আব্দুর রহিম। জেলে থাকা অবস্থায় আরেক ডাকাত আলিম হোসেনের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। আলিম হোসেনের বাড়ি হাকিমপুরে। তার কাছ থেকে আব্দুর রহিম ওই রাইস মিলের টাকার বিষয়ে জানতে পারেন এবং জেলে বসেই ডাকাতির পরিকল্পনা করেন। জেল থেকে বের হওয়ার পর তারা ১০ জনের ডাকাতদল গঠন করে ওই মিলে হানা দেন।
গ্রেফতার আব্দুর রহিমের নামে বিভিন্ন থানায় পাঁচটি, শামীমের বিরুদ্ধে ১৪টি, আব্দুস সোহাগের বিরুদ্ধে ১০টি, আলিম হোসেনের বিরুদ্ধে একটি ও ফরিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে একটি মামলা রয়েছে বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
Advertisement
এমদাদুল হক মিলন/এসআর/জেআইএম