প্যাকেটজাত ও মোড়কজাতকরণ বিধিমালা অনুসরণ করে কসমেটিকস পণ্য বিক্রির ব্যবস্থা গ্রহণ করার তাগিদ দিয়েছেন জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ. এইচ. এম. সফিকুজ্জামান।
Advertisement
তিনি বলেন, অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় বিদেশি কসমেটিকসের ক্ষেত্রে আমদানিকারকের তথ্য থাকে না এবং আমদানিকারক কর্তৃক এমআরপি প্রদান করা হয় না। এছাড়াও কসমেটিকস পণ্যে বিষাক্ত কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয় যা ভোক্তার ত্বকের ক্ষতি করছে।
বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও অ্যাসোসিয়েশন অব স্কিনকেয়ার অ্যান্ড বিউটি প্রোডাক্টস ম্যানুফ্যাকচার্স অ্যান্ড ইমপোর্টার্স অব বাংলাদেশের মধ্যে মিডিয়া ফেলোশিপ প্রদান বিষয়ে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
অধিদপ্তরের বিষয়ে স্বচ্ছ, বস্তুনিষ্ঠ, ভারসাম্যপূর্ণ ও দায়িত্বশীল সংবাদ পরিবেশনে সাংবাদিকদের সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে মিডিয়া ফেলোশিপ প্রদানের জন্য এ স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
Advertisement
সমঝোতা স্মারকে অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে স্বাক্ষর করেন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবং অ্যাসোসিয়েশন অব স্কিন কেয়ারের আহ্বায়ক আশরাফুল আম্বিয়া।
এসময় মহাপরিচালক আরও বলেন, প্রতিনিয়ত ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণে কাজ করে যাচ্ছি কিন্তু এই ক্ষেত্রে সফল হতে হলে প্রয়োজন ভোক্তাদের সচেতনতা ও সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা। এই সচেতনতার অংশ হিসেবে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের আয়োজন করা হয়েছে।
আলোচনায় মহাপরিচালক অধিদপ্তর কর্তৃক পরিচালিত অভিযানে কসমেটিকস পণ্যের ক্ষেত্রে প্রাপ্ত অসঙ্গতি যথা কসমেটিকস পণ্যের মোড়কে আমদানিকারকের তথ্য এবং সর্বোচ্চ খুচরা বিক্রয় মূল্য, উপাদান, পরিমাণ, ব্যবহারবিধি, উৎপাদনের তারিখ ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ উল্লেখ না থাকা, প্রাইসগান মেশিনের সাহায্যে খুচরা বিক্রেতা নিজেই সর্বোচ্চ খুচরা বিক্রয় মূল্য প্রদান করা, আমদানিকারক কর্তৃক প্রদত্ত সর্বোচ্চ খুচরা বিক্রয় মূল্য কেটে অধিক মূল্য লেখা, বিদেশী পণ্য নকল করে দেশের অভ্যন্তরে তৈরি করে বিদেশী পণ্য হিসেবে বিক্রয় করা হয়, নকল কসমেটিকস পণ্যের ক্ষেত্রে সঠিক মানদন্ড না থাকা এবং বিএসটিআই কর্তৃক নিষিদ্ধ/অনুমোদনহীন ফেস ক্রিম সহ অন্যান্য কসমেটিকস বিক্রয় ইত্যাদির বিষয় তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, অধিদপ্তর ভোক্তার পাশাপাশি ব্যবসায়ীদেরও সুরক্ষা প্রদান করে। দেশীয়ভাবে প্রসাধনী প্রস্তুতকরণ ও বাজারজাতকরণের উদ্যোগকে আমরা অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে স্বাগত জানাই। কেননা এর মাধ্যমে দেশের বিপুল সংখ্যক কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হচ্ছে। ভোক্তা স্বার্থ বিবেচনায় জনসচেনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে গণমাধ্যমকর্মীদের সম্পৃক্ত করার জন্য অধিদপ্তর ও অ্যাসোসিয়েশনের এর মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর, অধিদপ্তরের প্রচারনা কার্যক্রমের জন্য মাইলফলক হয়ে থাকবে।
Advertisement
এনএইচ/এসআইটি/জিকেএস