ক্যাসিনোকাণ্ডে আলোচিত অস্ত্র আইনের মামলায় যাবজ্জীবন দণ্ডিত যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীমকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন বহাল রেখেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
Advertisement
আইনজীবী কুমার দেবুল দে বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন।
জামিন স্থগিত চেয়ে করা আবেদন খারিজ করে বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আজ জি কে শামীমের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ফিদা এম কামাল ও সিনিয়র অ্যাডভোকেট এসএম শাহজাহান। তাদের সহযোগিতা করেন অ্যাডভোকেট বি এম ইলিয়াস কচি, অ্যাডভোকেট কুমার দেবুল দে। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জি বাপ্পী।
Advertisement
এর আগে অস্ত্র আইনের মামলায় যাবজ্জীবন দণ্ডিত জি কে শামীমের জামিন মঞ্জুর করে আদেশ দেন হাইকোর্ট।
এ সংক্রান্ত বিষয়ে শুনানি নিয়ে গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর হাইকোর্টের বিচারপতি এস এম আবদুল মোবিন ও বিচারপতি মো. মাহমুদ হাসান তালুকদারের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
পরে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন ২২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্থগিত করেন আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালত।
গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর আপিল বিভাগের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের চেম্বার জজ আদালত এ আদেশ দেন।
Advertisement
আরও পড়ুন>> জি কে শামীম ও তার মায়ের বিচার শুরু
ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানের সময় ২০১৯ সালের ২০ সেপ্টেম্বর গুলশানের নিকেতনে শামীমের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেও অভিযান চালায় র্যাব। ওই সময় ওই ভবন থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা, এফডিআর, আগ্নেয়াস্ত্র ও মদ উদ্ধার করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
অভিযানের সময় জি কে শামীম ও তার সাত দেহরক্ষীকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর তাদের বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলা করা হয়। এর মধ্যে দুই মামলায় তার সাজা হয়েছে।
২০২২ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর জি কে শামীম ও তার সাত দেহরক্ষীকে অস্ত্র মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শেখ ছামিদুল ইসলাম। জি কে শামীমের দেহরক্ষীরা হলেন- মো. জাহিদুল ইসালাম, মো. শহিদুল ইসলাম, মো. কামাল হোসেন, মো. সামসাদ হোসেন, মো. আমিনুল ইসলাম, মো. দেলোয়ার হোসেন ও মো. মুরাদ হোসেন।
এছাড়াও মানি লন্ডারিং আইনের মামলায় জি কে শামীমকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম আদালত। তার সাত দেহরক্ষীরও চার বছর করে কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। এছাড়া তাদের সম্মিলিতভাবে তিন কোটি ৮৩ লাখ ৩৫ হাজার ৮১৪ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত।
এফএইচ/ইএ/এএসএম