মেক্সিকোর দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য গুয়েরেরোতে বেশ কয়েকটি অপরাধী চক্রের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় কমপক্ষে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। দেশটির প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেস ম্যানুয়েল লোপেজ ওব্রাদর বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) জানিয়েছেন, ওই অঞ্চলে সাম্প্রতিক সময়ে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড বৃদ্ধি পেয়েছে। বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
Advertisement
লাস টুনাসের পাহাড়ি সম্প্রদায়ের মধ্যে ওই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সেখানে পাঁচটি পোড়া মরদেহ পাওয়া গেছে বলে রাষ্ট্রীয় প্রসিকিউটরের কার্যালয় নিশ্চিত করেছে।
প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেস ম্যানুয়েল লোপেজ ওব্রাদর সাংবাদিকদের বলেন, সব তথ্য ছাড়াই এটা অনুমান করা যায় যে, অপরাধী চক্রের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এখন পর্যন্ত সেখানে ১২ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
তিনি জানিয়েছেন, নিরাপত্তা বাহিনী ওই এলাকায় অভিযান চালাচ্ছে এবং এ বিষয়ে আরও তথ্য দেওয়া হবে। এদিকে স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ওই এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিতে লা ফ্যামিলিয়া মিচোয়াকানা এবং লস তলাকোস নামের দুটি অপরাধী চক্রের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
Advertisement
বিশ্লেষক ডেভিড সসেডো বলেছেন, লা ফ্যামিলিয়া মিচোয়াকানা প্রতিবেশী মিচোয়াকান রাজ্যে আধিপত্য বিস্তার করে আছে। এখন তারা দেশের অন্যতম দরিদ্র এবং সবচেয়ে সহিংস রাজ্য গুয়েরেরোকে দখল করার চেষ্টা করছে। ফলে অন্যান্য অপরাধী চক্রের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ বাঁধছে।
তিনি বলেন, তারা তাদের আঞ্চলিক ঘাঁটি প্রসারিত করতে চাইছে। ফলে স্থানীয় অপরাধী গোষ্ঠীগুলোও প্রতিরোধ গড়ে তুলছে। সরকারি হিসাব অনুযায়ী, এসব অপরাধী চক্রের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় ২০২৩ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৮৯০ জন নিহত হয়েছে।
লাস টুনাস সান মিগুয়েল টোটোলাপান পৌরসভার অংশ। সেখানে ২০২২ সালের অক্টোবরে সিটি হলে একটি অপরাধী গোষ্ঠীর হামলায় মেয়রসহ ২০ জন নিহত হন।
আরও পড়ুন:
Advertisement
মেক্সিকোতে ২০০৬ সালের শেষ দিক থেকে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ফেলিপ ক্যালডেরন একটি বিতর্কিত মাদকবিরোধী সামরিক অভিযান শুরু করার পর ৪ লাখ ২০ হাজারের বেশি খুন এবং আরও কয়েক হাজার ব্যক্তির নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা রেকর্ড হয়েছিল।
টিটিএন