আইন-আদালত

হাইকোর্টের নির্দেশনার ১০ বছর, বাস্তবায়নের চেষ্টা নিয়ে প্রশ্ন

সর্বত্র বাংলা ভাষার ব্যবহার নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকার ১৯৮৭ সালে ‘বাংলা ভাষা প্রচলন আইন, ১৯৮৭’ জারি করে। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের তৃতীয় অনুচ্ছেদের বিধান পূর্ণরূপে কার্যকর করার উদ্দেশে এ আইন প্রণয়ন করা হয়েছিল। এরপর তিন যুগেরও বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও আজও সর্বস্তরে বাংলার ব্যবহার নিশ্চিত করা যায়নি। এ আক্ষেপ কবে ঘুচবে তা নিয়েও রয়েছে সংশয়।

Advertisement

‘প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রভাষা বাংলা’ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের তৃতীয় অনুচ্ছেদে স্পষ্ট করে এটি ঘোষণা করা হয়েছে। সেদিক থেকে সংখ্যাগরিষ্ঠ বাংলা ভাষাভাষীর এই দেশে সর্বত্র বাংলার ব্যবহার বাধ্যতামূলক হওয়াটাই ছিল স্বাভাবিক। কারণ, সংবিধান তো প্রজাতন্ত্রের সর্বোচ্চ আইন। কিন্তু সেটি হয়নি। ভাষার জন্য প্রাণোৎসর্গকারী একটি জাতি আজও আপন ভাষার সর্বময় ব্যবহারে অভ্যস্ত হতে পারেনি।

ঢাকার কথাই ধরা যাক। দুই কোটিরও অধিক জনসংখ্যার এই ব্যস্ততম নগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বহু এলাকায় সাইনবোর্ড ইংরেজি ভাষায় লেখা। অনেক হাসপাতালে চিকিৎসকদের বা বিভিন্ন অফিসে সরকারি কর্মকর্তার নামফলকেও শুধু ইংরেজির ব্যবহার। যেন মুখোশের আড়ালে মুখটাই ঢাকা পড়ে গেছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ইংরেজির অযাচিত বা অপ্রয়োজনীয় ব্যবহারে বাংলা ভাষার মুখ যেন আজ ধুলায় মলিন

ওই আইন জারির প্রায় দুই যুগ পর সর্বস্তরে বাংলা ভাষা প্রচলনের দাবিতে ২০১৪ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন দায়ের করা হয়েছিল। এর একদিন পরই ১৭ ফেব্রুয়ারি ওই রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি করে বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি এবিএম আলতাফ হোসেনের বেঞ্চ হাইকোর্ট নির্দেশনা দেন। সেখানে দূতাবাস ও বিদেশি প্রতিষ্ঠান ছাড়া দেশের সব সাইনবোর্ড, ইলেকট্রনিক গণমাধ্যমে সম্প্রচারিত বিজ্ঞাপন, নামফলক ও গাড়ির নম্বর প্লেট বাংলায় লেখার নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত।

Advertisement

এরই মধ্যে ওই আদেশেরও ১০ বছর পেরিয়ে গেছে। এখন প্রশ্ন- এই দীর্ঘ সময়ে দেশে নামফলক, সাইনবোর্ড তথা সর্বত্র বাংলার প্রচলন কতটা বাস্তবায়ন হয়েছে? এক্ষেত্রে মূল বাধা কোথায়, প্রশ্ন আছে তা নিয়েও।

আরও পড়ুন>> • সাইনবোর্ড বাংলায় না লিখলে কঠোর পদক্ষেপে যাচ্ছে ডিএনসিসিসর্বস্তরে হোক বাংলা ভাষার প্রচলনবাংলা ভাষার ভবিষ্যত : ভাবনা-দুর্ভাবনা

রাজধানী ঢাকার কথাই ধরা যাক। দুই কোটিরও অধিক জনসংখ্যার এই ব্যস্ততম নগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বহু এলাকায় সাইনবোর্ড ইংরেজি ভাষায় লেখা। অনেক হাসপাতালে চিকিৎসকদের বা বিভিন্ন অফিসে সরকারি কর্মকর্তার নামফলকেও শুধু ইংরেজির ব্যবহার। যেন মুখোশের আড়ালে মুখটাই ঢাকা পড়ে গেছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ইংরেজির অযাচিত বা অপ্রয়োজনীয় ব্যবহারে বাংলা ভাষার মুখ যেন আজ ধুলায় মলিন।

আইনজীবীরা বলছেন, বুকের তাজা রক্ত ঢেলে ভাষার মর্যাদা রক্ষা করেছেন একুশের শহীদরা। মাতৃভাষার প্রতি এমন অবহেলা আমাদের হীন মানসিকতারই বহিঃপ্রকাশ। এটিই সর্বস্তরে বাংলা প্রচলনের বড় বাধা। রাজধানীর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাইনবোর্ডে দ্বিতীয় ভাষা হিসেবেও বাংলার ঠাঁই হচ্ছে না। অথচ হাইকোর্টের নির্দেশনা ছিল- সাইনবোর্ডে ইংরেজি থাকতে পারবে কিন্তু বাংলা থাকতেই হবে। অনেক প্রতিষ্ঠানের সাইনবোর্ডে ইংরেজির পাশাপাশি বাংলা জায়গা পেয়েছে, তবে তা অত্যন্ত অবহেলিতভাবে।

Advertisement

বাংলাদেশের সংবিধান ও আইনে বাংলার প্রচলন জানতে ইতিহাসের দিকে একটু ফিরে তাকানো যেতে পারে। ভারতবর্ষে প্রায় দুইশ বছরের ব্রিটিশ শাসনের অবসান হয়েছিল ১৯৪৭ সালে। তখনই দ্বিজাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে এক দেশ দুই ভাগ হয়ে ভারত ও পাকিস্তান নামে পৃথক রাষ্ট্রের জন্ম হয়। এরমধ্যে পাকিস্তান ছিল পূর্ব ও পশ্চিম দুই অংশে বিভক্ত। ধর্মীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতায় এক হলেও পাকিস্তানের দুই অংশের মধ্যে সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক বৈষম্য ছিল প্রবল। এক পর্যায়ে পাকিস্তানের উভয় অংশের রাজনৈতিক পার্থক্যের ওপর প্রথম প্রশ্নটি ওঠে বাংলা ভাষার মর্যাদা রক্ষায়।

ভারতবর্ষে প্রায় দুইশ বছরের ব্রিটিশ শাসনের অবসান হয়েছিল ১৯৪৭ সালে। তখনই দ্বিজাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে এক দেশ দুই ভাগ হয়ে ভারত ও পাকিস্তান নামে পৃথক রাষ্ট্রের জন্ম হয়। এরমধ্যে পাকিস্তান ছিল পূর্ব ও পশ্চিম দুই অংশে বিভক্ত। ধর্মীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতায় এক হলেও পাকিস্তানের দুই অংশের মধ্যে সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক বৈষম্য ছিল প্রবল। এক পর্যায়ে পাকিস্তানের উভয় অংশের রাজনৈতিক পার্থক্যের ওপর প্রথম প্রশ্নটি ওঠে বাংলা ভাষার মর্যাদা রক্ষায়

এরই ধারাবাহিকতায় আসে বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন। সেই ভাষা রক্ষার সংগ্রামে বাংলা মায়ের দামাল ছেলেদের বুকের রক্তে রঞ্জিত হয় রাজপথ। ১৯৫৬ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি গৃহীত ‘কনস্টিটিউশন অব ইসলামিক রিপাবলিক অব পাকিস্তান’-এর ২১৪ নম্বর অনুচ্ছেদে উর্দুর পাশাপাশি বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দিতে বাধ্য হয়েছিল তৎকালীন পাকিস্তান সরকার। পরবর্তীকালে এ পথ ধরেই একাত্তরে আমাদের স্বাধীনতা ও মুক্তির সংগ্রাম এবং স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ রাষ্ট্রের আত্মপ্রকাশ।

২০১৪ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারির আদেশে হাইকোর্ট রিটটির ওপর পরবর্তী আদেশের জন্য ওই বছরের ১ এপ্রিল দিন রাখেন। ওই দিনের মধ্যে আদেশটি বাস্তবায়ন করে অগ্রগতি প্রতিবেদন জমা দিতে তৎকালীন মন্ত্রিপরিষদ, আইন, স্বরাষ্ট্র ও সংস্কৃতি সচিবকে নির্দেশ দিয়েছিলেন উচ্চ আদালত। ১০ বছর আগের সেই আদেশে বলা হয়েছিল, ‘সরকারি একজন কর্মকর্তার নামফলকটাও অনেক সময় শুধু ইংরেজিতে লেখা থাকে।’

এছাড়া গণমাধ্যমসহ সর্বত্র বাংলা ভাষা ব্যবহারের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না- তা জানতে চেয়ে ওইদিনই একটি রুলও জারি করেন আদালত। মন্ত্রিপরিষদ, আইন, স্বরাষ্ট্র ও সংস্কৃতি সচিবকে পরবর্তী দুই সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়। ওইদিন আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন রিটকারী আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. ইউনুস আলী আকন্দ নিজেই। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিত রায়।

সেদিন আদেশের পর বিশ্বজিত রায় বলেছিলেন, এ আদেশ বাস্তবায়ন করে দেশের সব সাইনবোর্ড, ইলেকট্রনিক গণমাধ্যমে সম্প্রচারিত বিজ্ঞাপন, নামফলক ও গাড়ির নম্বর প্লেট বাংলায় লিখতে হবে। তবে সঙ্গে ইংরেজি থাকতে পারবে কি না, তা আদেশে উল্লেখ নেই। আদেশের লিখিত অনুলিপি পাওয়া গেলে সেটা হয়তো বলা যাবে।

আরও পড়ুন>>• নামফলক-সাইনবোর্ডে দেখা মিলছে বাংলাপ্রতিষ্ঠানের নামফলক বাংলা করার দাবিসর্বস্তরে বাংলা ভাষা কি দুরাশা?

‘বাংলা ভাষা প্রচলন আইন, ১৯৮৭’-এর ৩(১) ধারা অনুযায়ী, ‘এই আইন প্রবর্তনের পর বাংলাদেশের সর্বত্র তথা সরকারি অফিস, আদালত, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান কর্তৃক বিদেশের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যতীত অন্য সব ক্ষেত্রে নথি ও চিঠিপত্র, আইন-আদালতের সওয়াল জবাব এবং অন্য আইনানুগ কার্যাবলি অবশ্যই বাংলায় লিখতে হবে।’

আইনটির ৩(১) উপ-ধারা অনুযায়ী, উল্লেখিত কোনো কর্মস্থলে যদি কোনো ব্যক্তি বাংলা ভাষা ব্যতীত অন্য কোনো ভাষায় আবেদন বা আপিল করেন তাহা হইলে উহা বেআইনি ও অকার্যকর বলিয়া গণ্য হইবে।

৩(৩) ধারায় বলা হয়েছে, যদি কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারী এই আইন অমান্য করেন তাহলে উক্ত কার্যের জন্য তিনি সরকারি কর্মচারী শৃঙ্খলা ও আপিল বিধির অধীনে অসদাচরণ করেছেন বলে গণ্য হবে এবং তার বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারী শৃঙ্খলা ও আপিল বিধি অনুসারে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ইউনুছ আলী আকন্দের করা ওই রিট আবেদনে বলা হয়, আইন প্রণয়নের পর এতদিন অতিবাহিত হলেও সরকারি কর্মকর্তা বা কর্মচারীরা এ আইন ঢালাওভাবে অমান্য করে যাচ্ছেন। এখন পর্যন্ত কারও বিরুদ্ধে বিধি অনুসারে কোনো ব্যবস্থাও নেওয়া হয়নি। এজন্য আইনটি বাস্তবায়নে উচ্চ আদালতের আদেশ প্রয়োজন।

বাংলা তো থাকা দরকার, তার পাশাপাশি যদি ইংরেজি থাকে তাতে কোনো সমস্যা নেই। কারণ, এখন তো বহু ব্যবসায়ী বিশ্ববাজারের দিকে ঝুঁকছেন। অনেক ক্ষেত্রে দেশি-বিদেশি লোকেরা একসঙ্গে কাজ করেন। সেখানে বাংলার পাশাপাশি ইংরেজির ব্যবহার থাকতে পারে। উচ্চ আদালতের নির্দেশনা সেভাবে বাস্তবায়ন করার জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা কর্তৃপক্ষ কী দায়িত্ব পালন করেছে। শহীদরা মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষা করেছেন। সেই ভাষার প্রতি এমন অবহেলার পেছনে কাজ করছে আমাদের হীন মানসিকতা

এ বিষয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) সম্পত্তি কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান জাগো নিউজকে বলেন, বিগত বছরগুলোতে তারা বাংলায় নামফলক, সাইনবোর্ড ব্যবহার নিশ্চিত করতে অভিযান চালিয়েছেন। তবে চলতি বছর এখনো এ ধরনের অভিযান শুরু করেননি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা পেলে অভিযান চালাবেন।

অন্যদিকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) জনসংযোগ কর্মকর্তা মকবুল হোসাইন জাগো নিউজকে বলেন, ডিএনসিসি এলাকায় বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের নামফলক, সাইনবোর্ডে ইংরেজির পরিবর্তে বাংলা ব্যবহারের প্রবণতা অনেক বেড়েছে। অনেক প্রতিষ্ঠান বাংলার পাশাপাশি ইংরেজি বা ইংরেজির পাশাপাশি বাংলায় লিখছে। আর বাংলার ব্যবহার নিশ্চিত করতে শুধু ফেব্রুয়ারি নয়, বছরজুড়েই আমরা তদারকি করি। বিশেষত, ট্রেড লাইসেন্স করতে চাইলে এটিতে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়। ট্রেড লাইসেন্সের সঙ্গে সাইনবোর্ডের অনুমোদন দেয় ডিএনসিসি। ব্যবসায়ীদের এর বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই।

আরও পড়ুন>>• সর্বত্র বাংলা ভাষার ব্যবহার না হওয়াই আমাদের বড় ব্যর্থতাজাতিসংঘে বাংলা ভাষার স্বীকৃতি ও সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জবাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিশ্বায়নের পথে এগোতে পারেনি

মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবির) চেয়ারম্যান ও সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ জাগো নিউজকে বলেন, এখন বহু স্থানে দেখা যায় বাংলায় লেখা সাইনবোর্ড। বাংলা তো থাকা দরকার, তার পাশাপাশি যদি ইংরেজি থাকে তাতে কোনো সমস্যা নেই। কারণ, এখন তো বহু ব্যবসায়ী বিশ্ববাজারের দিকে ঝুঁকছেন। অনেক ক্ষেত্রে দেশি-বিদেশি লোকেরা একসঙ্গে কাজ করেন। সেখানে বাংলার পাশাপাশি ইংরেজির ব্যবহার থাকতে পারে।

তিনি বলেন, উচ্চ আদালতের নির্দেশনা সেভাবে বাস্তবায়ন করার জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা কর্তৃপক্ষ কী দায়িত্ব পালন করেছে। শহীদরা মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষা করেছেন। সেই ভাষার প্রতি এমন অবহেলার পেছনে কাজ করছে আমাদের হীন মানসিকতা।

অ্যাডভোকেট ইউনুছ আলী আকন্দ জাগো নিউজকে বলেন, বাংলায় নামফলক ও সাইনবোর্ড লেখার জন্য উচ্চ আদালতের আদেশ বাস্তবায়ন না হওয়ায় আদালত অবমাননার অভিযোগে আরও একটি আবেদন করেছিলাম। কিন্তু সেটিও শুনানি হয়নি। ফলে নামফলক ও সাইনবোর্ড বাংলায় লেখার আদেশ এখনো বাস্তবায়ন হয়নি।

‘এ বিষয়ে জারি করা রুলটিও শুনানি করার জন্য চেষ্টা চালিয়েছিলাম। সেটিও এতদিনে শুনানি করতে পারিনি’- বলেন এ আইনজীবী।

এফএইচ/এমকেআর/এএসএম