বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে জীবন উৎসর্গকারী শহীদদের পরম শ্রদ্ধায় স্মরণ করছেন চট্টগ্রামবাসী। একুশের প্রথম প্রহরে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুলিশের পক্ষ থেকে সশস্ত্র অভিবাদন জানানো হয়। পরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান চট্টগ্রামের মেয়র মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম চৌধুরী।
Advertisement
এর পরপর চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার তোফায়েল ইসলাম, সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়, ডিআইজি নূরে আলম মিনা, জেলা প্রশাসক (ডিসি) আবুল বাশার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান, পুলিশ সুপার (এসপি), মুক্তিযোদ্ধা সংসদ নগর ও জেলা কমান্ড নেতারা ফুলেল শ্রদ্ধা জানান।
দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে শ্রদ্ধা জানান নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন ও সাবেক সংসদ সদস্য নোমান আল মাহমুদ।
পরে শহীদ মিনার উন্মুক্ত করে দেওয়া হলে হাজারো মানুষের ঢল নামে। বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের পাশাপাশি শিশু-কিশোর, বৃদ্ধ সবাই ফুল নিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে আসছেন ভাষার জন্য জীবনদানকারী শহীদদের।
Advertisement
শহীদ মিনারে ফুলেল শ্রদ্ধা জানিয়েছেন চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের (সিইউজে) সভাপতি তপন চক্রবর্তী, সিনিয়র সহ-সভাপতি রুবেল খান, সাধারণ সম্পাদক ম শামসুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মহররম হোসাইন, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজ) সদস্য আজহার মাহমুদ, প্রতিনিধি ইউনিট প্রধান সোহেল সরওয়ার ও টিভি ইউনিট প্রধান তৌহিদুল আলম।
ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানান চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি চৌধুরী ফরিদ, সাধারণ সম্পাদক দেবদুলাল ভৌমিক, যুগ্ম সম্পাদক শহীদুল্লাহ্ শাহরিয়ার, ক্রীড়া সম্পাদক সোহেল সরওয়ার, গ্রন্থাগার সম্পাদক কুতুব উদ্দিন, সমাজসেবা ও আপ্যায়ন সম্পাদক আল রাহমান প্রমুখ।
রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে ১৯৫২ সালের এই দিনে বাঙালির রক্তে রঞ্জিত হয়েছিল রাজপথ, ওই রক্তের দামে এসেছিল বাংলার স্বীকৃতি আর তার সিঁড়ি বেয়ে অর্জিত হয় স্বাধীনতা।
বাঙালির এই আত্মত্যাগের দিন এখন কেবল আর বাংলার নয়, রাষ্ট্রীয় সীমানা ছাড়িয়ে ২১ ফেব্রুয়ারি এখন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস।
Advertisement
এএজেড/ইএ/এএসএম