জাতীয়

তিন ইস্যুতে হাছান মাহমুদের সঙ্গে ঘানার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আলোচনা

ঢাকা সফরত ঘানার পররাষ্ট্র ও আঞ্চলিক সংহতিবিষয়ক মন্ত্রী শার্লি আয়োরকর বোচওয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। বৈঠকে পণ্য রপ্তানি, চুক্তিভিত্তিক চাষাবাদ এবং কমনওয়েলথ ইস্যুতে গুরত্ব দেয় উভয়পক্ষ।

Advertisement

মঙ্গলবার (২০ ফ্রেবুয়ারি) দুপুরে দুই মন্ত্রীর বৈঠক শেষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন আফ্রিকা অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ এফ এম জাহিদ উল ইসলাম ও মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলী সাবরীন।

মহাপরিচালক জাহিদ উল ইসলাম বলেন, তিনটি বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা কী কী পণ্য ঘানাতে রপ্তানি করতে পারি তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ফার্মাসিউটিক্যালস, পাট ও পাটজাত পণ্য। চুক্তিভিত্তিক চাষাবাদের জন্য ঘানা উপযুক্ত কি না এবং আমরা এ ব্যাপারে সমঝোতায় যেতে পারি কি না তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।

তিনি বলেন, ঘানা কমনওয়েলথভুক্ত একটি রাষ্ট্র। আগামী অক্টোবরে সামোয়াতে সেক্রেটারি হেডস অব লিডারদের সম্মেলন আছে। সেই সম্মেলনে কমনওয়েলথ সেক্রেটারি নির্বাচন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। মূলত এ তিনটি বিষয়ে আমরা ব্যাপকভাবে আলোচনা করেছি।

Advertisement

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঘানার পররাষ্ট্রমন্ত্রী শার্লি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন বলে জানান মহাপরিচালক।

আফ্রিকায় চুক্তিভিত্তিক চাষাবাদ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আফ্রিকার মহাপরিচালক বলেন, ২০১৬ সালে ক্ষুদ্র পরিসরে শুরু হয়েছে। এখনো সেই অর্থে আলোর মুখ দেখেনি। তবে আমরা ঘানার সঙ্গে আলোচনা করেছি এবং কাম্পালায় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাইডলাইন মিটিং হয়েছে। উগান্ডা আমাদের ২০ হাজার হেক্টর জমি লিজ আকারে দেওয়ার ব্যাপারে সম্মত হয়েছে। আমরা এফবিসিসিআইয়ের সঙ্গে মিটিং করেছি। উগান্ডাতে আমরা সরকারি ও বেসরকারি প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি সফর করবো।

কমনওয়েলথে সেক্রেটারি প্রার্থিতা প্রসঙ্গে জাহিদ উল ইসলাম জানান, ৩১ মার্চ ডেডলাইন। তানজানিয়া আবেদন তুলে নিয়েছে। এখন পর্যন্ত তিনটি দেশ আছে। গাম্বিয়া, ঘানা এবং লেসেতো।

এ সময় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলী সাবরীন বলেন, দুই মন্ত্রীর আলোচনায় বাংলাদেশ থেকে ফার্মাসিউটিক্যালস, পাট ও পাটজাত পণ্য ছাড়াও সিরামিকস ও লেদার পণ্য রপ্তানির বিষয়টি ছিল। আমাদের মন্ত্রী বলেছেন, যদি ঘানা থেকে কৃষিজমি লিজ দেওয়া হয় সেক্ষেত্রে আমাদের দেশের লোকজন সেখানে গিয়ে চাষাবাদ করলে এটা খাদ্য নিরাপত্তার জন্য দুই দেশের জন্য উইন-উইন সিটুয়েশন তৈরি হবে।

Advertisement

আইএইচআর/ইএ/এএসএম