টাঙ্গাইলে এক পাগলা কুকুরের কামড়ে নারী ও শিশুসহ ১২ জন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে ভূঞাপুর উপজেলার ইবরাহীম খাঁ সরকারি কলেজ ও বীরহাটি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
Advertisement
কুকুরের কামড়ে আহতরা হলেন পৌর শহরের বীরহাটি গ্রামের আব্দুল হাকিমের ছেলে আব্দুল হালিম (৩৮), বামনা হাটা গ্রামের কোরবান শেখের ছেলে জহুরুল ইসলাম (২৩), ফসলান্দি গ্রামের হাসান আলীর ছেলে আতিকুর রহমান (৩৮), পশ্চিম ভূঞাপুর গ্রামের সুজনের স্ত্রী লিলি বেগম (৩০), ফলদা ইউনিয়নের ঝনঝনিয়া গ্রামের কেরামত আলী (৬৫), আইয়ুব আলী, স্কুলছাত্রী জুঁই খাতুন (৯), পৌরসভার বেতুয়া এলাকার আতোয়ার রহমানের স্ত্রী জহুরা (৫০) এবং নিকরাইল এলাকার মঈন উদ্দিনের স্ত্রী নাসিমা বেগম (৪৫)। অপর তিনজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
স্থানীয়রা জানান, পাগলা কুকুরটি পথচারীদের কামড়াচ্ছে। এতে আহতদের সংখ্যা বাড়ছে। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভ্যাকসিনসহ প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। গুরুতর আহতদের উন্নত চিকিৎসার জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আহত জহুরুল ইসলাম বলেন, ‘ইবরাহীম খাঁ মাজারের কাছে একটি পাগলা কুকুর লাফ দিয়ে আমার ওপর এসে পড়ে এবং পায়ে কামড়ে দেয়। এরপরই কুকুরটি সেখানে থাকা আরও কয়েকজনকে কামড় দেয়।’
Advertisement
উপজেলার কষ্টাপাড়া ফাজিল মাদরাসার সিনিয়র শিক্ষক আতিকুর রহমান বলেন, ‘বাসা থেকে বের হয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে খোঁজ নিতে যাওয়ার সময় দৌড়ে এসে কুকুরটি কামড় দেয়। এরপর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসে দেখি ভ্যাকসিন নেই। বাইরে থেকে ভ্যাকসিন কিনে এনে দিতে হচ্ছে।’
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ইফাত ফারজানা বলেন, কুকুরের কামড়ে আহত ৯ জন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। এরমধ্যে গুরুতর আহত চারজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ভ্যাকসিন সরবরাহ না থাকায় বাইরে থেকে রোগীদের কিনে আনতে হচ্ছে।
এ বিষয়ে ভূঞাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জাহিদুর রহমান বলেন, বিষয়টি জানা নেই। খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরিফ উর রহমান টগর/এসআর/জেআইএম
Advertisement