একুশে বইমেলা

বৈচিত্র্য নেই শিশুতোষ বইয়ে, দাম নিয়েও রয়েছে অভিযোগ

অমর একুশে বইমেলার সময় প্রায় শেষের দিকে। এবার মেলার প্রায় প্রতিটি চত্বর জমজমাট। শিশু প্রহর ছাড়াও এবার প্রাণবন্ত দেখা গেছে শিশুচত্বর। তবে এই চত্বরের শিশুতোষ বইয়ের দাম ও মান নিয়ে অভিযোগ করেছেন অভিভাবকরা।

Advertisement

শিশুচত্বরের স্টল ঘুরে দেখা গেছে, অধিকাংশ স্টলেই পিকচার ওয়ার্ড বুক, সুন্দর হাতের লেখা শেখার বই, ম্যাজিক খাতা, কালারস বুক, ভূত, কমিকস, মজার খেলা, ধাঁধার বই, আঁকাআঁকি ও রঙ করার বই। এসবের তুলনায় শিশুসাহিত্য ও গল্পের বইয়ের সংখ্যা কম দেখা গেছে। এই চত্বরের প্রগতি পাবলিশার্স, ঘুড়ি প্রকাশনী, ঘাস ফড়িং,তাকধুম, নলেজ মিডিয়ায় ঘুরে দেখা গেছে একই ধাঁচের বই।

লাবনী পাবলিকেশন্স স্টলে গিয়ে দেখা গেছে, মিনা রাজু ও মিঠুর গল্পের বই, এছাড়াও স্পাইডার ম্যান, ছোটদের ডাইনোসর, পরীর দেশসহ নানা ধরনের গল্পের বই। এই বইগুলোর দাম ১৫০ থেকে ২৫০ টাকার মধ্যে।

শিশ্যসাহিত্য বইঘরে গিয়ে দেখা গেছে, ড্রইং ও কালারস বইয়ের ছড়াছড়ি। এসব বইয়ের দাম ও ১২০ থেকে ২৫০ টাকার মধ্যে।

Advertisement

তবে বইগুলোর দাম অনেকটা সাধ্যের বাইরে বলে জানিয়েছেন অভিভাবকরা।

রাজধানীর একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবী রাশেদ পাঁচ বছরের বাচ্চাকে নিয়ে মেলায় এসেছেন। বইয়ের দাম নিয়ে রয়েছে তার অভিযোগ। তিনি বলেন, ২৫% ছাড় দেওয়ার পরও দাম বেশি মনে হচ্ছে। অধিকাংশ বই পুরোনো, প্রতিটি স্টলে দেখা যায় ঈশপের গল্প, ঠাকুরমার ঝুলি এসব বই। ঈশপের গল্প বই নিয়েছি তাও ১৪০। কিছু গল্প কবিতা ও ছড়ার বই আছে দাম ৩০০ এর ঘরে, অনেক অভিভাবকদের জন্য এসব বই কেনা কিছুটা অসাধ্য।

শিশুচত্বরে রফিকুল হাসান নামে এক অভিভাবক বলেন, এক ঘণ্টা ঘুরলাম। বাচ্চার জন্য ভালো গল্প কিংবা শিক্ষনীয় তেমন বই পাইনি। যেগুলা আছে তা প্রতিবছরই দেখতে পাই। সব দোকানে হাতের লেখা সুন্দর করার ম্যাজিক বই, খেলনা, কার্টুন, স্পাইডার ম্যান, কালারস এছাড়াও কিছু কমিক্স বই দেখেছি। সৃজনশীল বই কম চোখে পড়েছে। এছাড়াও রঙ ছড়ানো প্রচ্ছদ করে চড়া মূল্যও নিচ্ছে।

আরেক অভিভাবক জয়ন্তী রায় বলেন, শিশুতোষ বইয়ের মান আগের মতো নেই। সৃজনশীল গল্প নেই। এখানে যেসব বই দেখছি এগুলো সারাবছর পাওয়া যায়। বইমেলায় এসে আমরা একটু মানসম্পন্ন বই খুঁজি। নিলয় হাসানের অনুবাদে ‘বরফ কন্যা’ নামে একটা বই নিয়েছি বাচ্চার জন্য দাম ১৮০ নিয়েছে। কিন্ত এটা ১৫০ এর বেশি উচিত হবে না।

Advertisement

তবে চড়া মূল্যের দামের বিষয়ে বিক্রয়কর্মীরা একই মতামত দিচ্ছেন। বইয়ের প্রচ্ছদ খরচ, মলাটের দাম ও কাগজের দামের কারণে বইয়ের দাম বেশি রাখছেন বলে জানিয়েছেন তারা।

লাবনী পাবলিকেশন্স এর বিক্রয়কর্মী সৈয়দ আবিদ হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, প্রিন্টিং খরচ বেশি তাই এই দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে। কালির দামও বেশি।

টুনটুনি স্টলের আয়াত আহমেদ বলেন, গত বছরের চেয়ে এবার দাম একটু বেড়েছে। আমরা মনে করি সব শ্রেণীর পাঠকরা বই কিনতে পারবে। আমাদের এখানে সর্বনিম্ন ১০০ থেকে ৪০০টাকা মূল্যের বই রয়েছে।

আরএএস/এসএনআর/এমএস