আইন-আদালত

ময়নাতদন্ত-অপমৃত্যুর মামলার তথ্য চেয়েছেন হাইকোর্ট

কয়েক মাসে কারাগারে বিএনপির ১৩ নেতাকর্মীর মৃত্যুর ঘটনার আন্তর্জাতিক মানের তদন্ত ও ভুক্তভোগীদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণের নির্দেশনা চেয়ে করা রিটের শুনানি এক সপ্তাহ পিছিয়ে আগামী মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রয়ারি) দিন ঠিক করেছেন হাইকোর্ট।

Advertisement

এ সময় আদালত ঘটনাগুলোতে ময়নাতদন্ত ও অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে কি না রিটকারীর আইনজীবীর কাছে জানতে চেয়েছেন।

সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) হাইকোর্টের বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর সমন্বিত বেঞ্চ এ বিষয়ে শুনানির দিন ধার্য করেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী, সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল ও অ্যাডভোকেট মো. মাকসুদ উল্লাহ। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ (এ এম) আমিন উদ্দিন। তার সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।

Advertisement

মাকসুদ উল্লাহ বলেন, শুনানিকালে আদালত নেতাকর্মীদের মৃত্যুর ঘটনাগুলো নিয়ে রিট রিট চলে কি না জানতে চেয়েছেন। একই সঙ্গে এগুলোর কয়টিতে ময়নাতদন্ত ও কয়টিতে অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে তা জানতে চেয়েছেন। ভুক্তভোগী পরিবারগুলো মামলা করুক বা না করুক সম্পূরক আকারে দেওয়ার কথা বলেন আদালত।

এ সময় আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী রিট চলে জানিয়ে বলেন, কে মরেছে, সাদা না কালো, এটি দেখার দরকার নেই। ঘটনাগুলোতে সবারই লজ্জিত হওয়া উচিত যে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনা বন্ধ হওয়া উচিত। অন্যদিকে, অ্যাটর্নি জেনারেল আমিন উদ্দিন বলেন, নির্যাতন এবং হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) নিয়ে ২০১৩ সালে আইন হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আবেদনকারীর পক্ষের উদ্বেগ, যুক্তি বা কিছু বলার থাকলে যেখানে ঘটনাগুলো ঘটেছে সেখানে মামলা করতে পারেন। আইন তাকে এ অধিকার দিয়েছে। উনি (রিট আবেদনকারী পক্ষ) নিজেই তা করতে পারেন।

বিএনপির ১৩ জন নেতাকর্মীর মৃত্যুর ঘটনার আন্তর্জাতিক মানের তদন্ত ও তাদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে গত ১১ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টে রিট করা হয়। বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল ওই রিট আবেদন করেন।

এর আগে গত ৯ ফেব্রুয়ারি নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী জানান, গত তিন মাসে কারা নির্যাতনে বিএনপির ১৩ জন নেতাকর্মীর মৃত্যু হয়েছে।

Advertisement

এফএইচ/এসএনআর/জেআইএম