নওয়াজ শরিফের পাকিস্তান মুসলিম লীগের (পিএমএল-এন) তিন প্রার্থীর বিজয়ী ফলাফল স্থগিত করেছেন ইসলামাবাদ হাইকোর্ট (আইএইচসি)। সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) এসব ফলাফল স্থগিতের নির্দেশ দেন আদালত।
Advertisement
ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ওই তিনজনের বিজয়ী হওয়ার ফলাফল স্থগিত করেন আদালত। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ জানিয়েছে, সোমবার ইসলামাবাদ হাইকোর্টের বিচারক মিঁঞাগুল হাসান আওরঙ্গজেব ও বিচারক আরবাব মুহাম্মদ তাহিরকে নিয়ে গঠিত দুই সদস্যের বেঞ্চ এই নির্দেশ দেন।
গত ৮ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের পর জাতীয় পরিষদের- ৪৭ আসনে পিএমএল-এনের তারিক ফজল চৌধুরী, এনএ- ৪৬ আসনে আনজুম আকিল ও এনএ- ৪৬ আসনে রাজা খুররম নওয়াজকে বিজয়ী ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। কিন্তু তাদের সবার বিরুদ্ধে কারচুপির অভিযোগ তোলে পিটিআই। পরে তারা এই তিন প্রার্থীর জয়ের বিরুদ্ধে আদালতের দারস্থ হয়।
আরও পড়ুন:
Advertisement
নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, তারিক চৌধুরী ১ লাখ ২ হাজার ৫০২টি ভোট, আঞ্জুম আকিল ৮১ হাজার ৯৫৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তবে নির্বাচন কমিশন ঘোষিত এ ফলাফলের বিরুদ্ধে আদালতে যান ইমরান খানের দলের প্রার্থীরা। অন্যদিকে, রাজা খুররম ইসলামাবাদের এনএ-৪৮ আসনের বিজয়ী হলেও চ্যালেঞ্জ করেন পিটিআই সমর্থিত প্রার্থী আলী বুখারি।
নির্বাচন শেষ হওয়ার পর থেকেই ফলাফলে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ করে আসছে পিটিআইসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দল। এরমধ্যেই শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাওয়ালপিন্ডির কমিশনার লিয়াকত আলি চাত্তা স্বীকার করেন নির্বাচনে কারচুপি হয়েছে। এমনকি, তিনি এও জানান যে এই কারচুপির সঙ্গে তিনি জড়িত। বিষয়গুলো স্বীকার করার পর তিনি নিজের শাস্তি দাবি করে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন।
আরও পড়ুন>>
প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী হিসেবে শাহবাজকে মনোনয়ন দিলেন নওয়াজ পাঞ্জাবের প্রথম নারী মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন নওয়াজের মেয়ে মরিয়ম বাবা আসিফ আলী জারদারিকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে চান বিলওয়াল ১৭ আসন পাওয়া এমকিউএমের সঙ্গে সমঝোতার দাবি নওয়াজদের ভোট-জোটের জটিল হিসাবে পাকিস্তানের রাজনীতিলিয়াকত আলীর এমন স্বীকারোক্তির পর নির্বাচনে কারচুপির দাবি আরও জোরালো হয়। বর্তমানে পিটিআইসহ বেশ কয়েকটি দল সঠিক ফলাফলের দাবিতে রাজপথে অবস্থান নিয়েছে। দলগুলো লিয়াকত আলি চাত্তার অভিযোগের সুষ্ঠু ও বিচার বিভাগীয় তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে।
Advertisement
সূত্র: জিও নিউজ
এসএএইচ