শেষ সময়ে জমে উঠেছে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলার ২৮তম আসর। অন্যান্যবারের মতো এবারের মেলাতেও শোভা পেয়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় নানান জিনিসপত্র। তবে সবকিছু ছাপিয়ে এবারের মেলার মূল আকর্ষণে পরিণত হয়েছে রুটি মেকার। এ কারণে মেলায় আগত ক্রেতা-দর্শনার্থীরা লাইবা রুটি মেকারের প্যাভিলিয়নে ভিড় করছেন।
Advertisement
সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলায় সরেজমিনে এমনই দৃশ্য চোখে পড়ে।
জানা যায়, লাইবা রুটি মেকার একটি মাল্টি রেসিপি মেকার। রুটি তৈরির জন্য পিড়ি-বেলুন ছাড়াই কাঠের তৈরি এ রুটি মেকারটির মাধ্যমে অনেক ধরনের কাঁচা ও সিদ্ধ আটার রুটি ও পরোটা তৈরি করা যায়। কোনো রকম বিদ্যুৎ খরচ ছাড়াই প্রতি মিনিটে ১২-১৫টি রুটি তৈরি করা যায় এই রুটি মেকারে। আকারভেদে প্রত্যেকটি রুটি মেকার ২ হাজার ২০০ টাকা থেকে ৬ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
পরিবার নিয়ে মেলায় আসা রোকেয়া আক্তার নামের এক ক্রেতা বলেন, প্রতিদিন সকালবেলা রুটি তৈরি করতে অনেক কষ্ট করতে হয়। মেকারে করতে অনেক সুবিধা আছে। তাড়াতাড়ি অনেক রুটি কোনো কষ্ট ছাড়াই বানিয়ে ফেলা যায়। তাই একটা রুটি মেকার কিনে নিয়ে গেলাম।
Advertisement
মিজানুর রহমান নামের এক ক্রেতা বলেন, মেলায় এসে রুটি মেকারে চোখ পড়লো। শুনেছি রুটি মেকারে নাকি সহজেই রুটি বানিয়ে ফেলা যায়। তাই বাসার জন্য একটি রুটি মেকার কিনবো।
প্যাভিলিয়ন ইনচার্জ মো. ফয়সাল বলেন, গতবারের মতোই আমরা ক্রেতাদের ভালো সাড়া পাচ্ছি। অনেকেরই অভিযোগ থাকে রুটি মেকার বাসায় নিয়ে গেলে আর কাজ করে না। তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই লাইবা রুটি মেকারের ক্ষেত্রে এমনটা হলে আমরা তিনগুণ টাকা ফেরত দিয়ে থাকি। আর অনেকেই নিয়ম না জানার কারণে এমন সমস্যা হয়ে থাকে। সেজন্য আমরা রুটি মেকারের সঙ্গে একটি করে বই দিয়ে দেই। যেখানে রুটি মেকারের রুটি বানানোর সব নিয়ম-কানুন সুন্দরভাবে লেখা থাকে।
এবারের বাণিজ্যমেলায় দেশীয় পণ্যের পাশাপাশি ভারত, পাকিস্তান, তুরস্ক, ইরান, হংকং, ইন্দোনেশিয়া, সিঙ্গাপুরসহ বিভিন্ন দেশ অংশ নিয়েছে। মেলায় এসব দেশের বস্ত্র, মেশিনারিজ, কার্পেট, কসমেটিকস অ্যান্ড বিউটি এইডস, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস, ফার্নিচার, পাট ও পাটজাত পণ্য, গৃহসামগ্রী, চামড়া-আর্টিফিসিয়াল চামড়া ও জুতাসহ চামড়াজাত পণ্য, স্পোর্টস গুডস, স্যানিটারি ওয়্যার, খেলনা, স্টেশনারি, ক্রোকারিজ, প্লাস্টিক, মেলামাইন পলিমার, হারবাল ও টয়লেট্রিজ, ইমিটেশন জুয়েলারি, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, ফাস্টফুড, হস্তশিল্পজাত পণ্য, হোম ডেকর ইত্যাদি পণ্য মেলায় প্রদর্শিত হবে। পণ্য প্রদর্শনের পাশাপাশি দেশীয় পণ্য রপ্তানির বড় বাজার খোঁজার লক্ষ্য রয়েছে।
রাশেদুল ইসলাম রাজু/এমআরএম/জেআইএম
Advertisement