দেশজুড়ে

মা-বাবাকে রিলিজ দিচ্ছে হাসপাতাল, রামেকে আইইডিসিআর টিম

সম্প্রতি অজানা ভাইরাসে রাজশাহীতে নিহত দুই শিশুর মা-বাবাকে ছুটি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হবে। তবে তারা বাসাতেই আইসোলেশনে থাকবেন।

Advertisement

এদিকে অজানা ভাইরাস শনাক্তে কাজ শুরু করেছেন আইইডিসিআরের প্রতিনিধিরা। সকালে তারা শিশু দুটির বাবা-মায়ের সঙ্গে কথা বলেন ও কিছু নমুনা নেন।

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউ ইনচার্জ ডা. আবু হেনা মোস্তফা কামাল বলেন, ওই দুই শিশুর বাবা-মায়ের গতকাল জ্বর ছিল। আল্লাহর রহমতে আজ আর জ্বর নেই। যেহেতু কোনো ভাইরাস এখনও শনাক্ত করা যায়নি, সেহেতু তাদের নিজ বাসাতেই আইসোলেশনে থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকেও আজকেই রিলিজ দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছি।

এদিকে আজ সকাল ১০টায় ঢাকা থেকে আসা আইইডিসিআরের ৩ সদস্যের তদন্ত টিম শিশুদের বাবা মিজানুর রহমান ও মা পলি খাতুনের সঙ্গে কথা বলেছেন। শিশু দুটির ও তাদের বাবা-মায়ের রোগের কেস হিস্ট্রির বিষয়ে বিস্তারিত খোঁজ নেন তারা। এছাড়া মৃত দুই শিশুর নমুনাও সংগ্রহ করেছেন প্রতিনিধি দল।

Advertisement

রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফএম শামীম আহমেদ বলেন, মৃত দুই শিশু ও তাদের বাবা-মা কী রোগে আক্রান্ত তার সঠিক কারণ বের করতে আইইডিসিইআর অধিকতর তদন্তের জন্য এখানে এসেছে। মৃত্যুর সঠিক কারণ বের করতে তারা কাজ করছে। ঢাকায় পাঠানো আগের নমুনা পুনরায় পরীক্ষা নীরিক্ষা করা হচ্ছে।

এছাড়া মৃত শিশুদের পাকস্থলীর খাবারের নমুনা হাসপাতালে সংরক্ষণ করে রাখা আছে। পাকস্থলী ঢাকায় পাঠিয়ে বিষক্রিয়া ছিল কি না তা পরীক্ষা করে দেখা হবে।

মুনতাহা মারিশা (২) ও মুফতাউল মাশিয়া (৫) নামের ওই দুই শিশু রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার চুনিয়াপাড়া গ্রামের মনজুর রহমানের মেয়ে। মনজুর রাজশাহী ক্যাডেট কলেজের গণিত বিভাগের প্রভাষক। তার স্ত্রীর নাম পলি খাতুন। পরিবারের সবাই রাজশাহীর চারঘাটের সারদায় ক্যাডেট কলেজের কোয়ার্টারে বসবাস করতেন।

শনিবার বিকেলে রামেক হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে মারা যায় মনজুরের বড় মেয়ে মাশিয়া। এর আগে বুধবার একই লক্ষণ নিয়ে মারা যায় ছোট মেয়ে মারিশা। পরে শিশুদের বাবা-মা মনজুর ও পলিকে হাসপাতালের নিপাহ আইসোলেশনে নেওয়া হয়। তবে পরীক্ষা-নীরিক্ষার পর নিপাহ ভাইরাস শনাক্ত না হওয়ায় ঠিক কী ভাইরাসে তারা মারা গেছে তা নিয়ে মাঠে নামে আইইডিসিআর। ভাইরাস শনাক্ত না হওয়া পর্যন্ত তাদের বাবা-মাকে বাসায় আইসোলেশনে থাকতে হবে।

Advertisement

সাখাওয়াত হোসেন/এফএ/জিকেএস