অর্থনীতি

বিশেষ ছাড়েও বিক্রি হচ্ছে না কোট-ব্লেজার

চলছে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলার ২৮তম আসর। তৃতীয়বারের মতো ঢাকার পূর্বাচল উপশহরে এই মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে এবারের মেলা ২০ দিন পিছিয়ে গত ২১ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়। এবারের মেলা চলাকালীন শীতের প্রকোপ কম থাকায় তুলনামূলক কম বিক্রি হচ্ছে কোট-ব্লেজার। বিভিন্ন কোট-ব্লেজারের প্যাভিলিয়নে চলছে নানা আকর্ষণীয় অফার। এরপরও গতবারের মতো আশানুরূপ বিক্রি হচ্ছে না কোট-ব্লেজার।

Advertisement

সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলায় সরেজমিনে এমনই চিত্র লক্ষ্য করা যায়।

বিভিন্ন প্যাভিলিয়ন ঘুরে দেখা যায়, মেলা উপলক্ষে বিভিন্ন কোট-ব্লেজারে ১০ শতাংশ থেকে শুরু করে ৩০ শতাংশ ছাড় চলছে। এসব প্যাভিলিয়নে ১ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত কোট ব্লেজার পাওয়া যাচ্ছে।

ব্যবসায়ীরা বলেন, সবসময় মেলায় আমাদের বেচাবিক্রি বেশি হলেও এবার সবচেয়ে কম হয়েছে। একদিকে মেলা শুরু হয়েছে শীতের শেষে আবার ইজতেমা শুরু করে কয়েকটি কারণে মেলায় লোক সমাগম কম হয়েছে। ফলে আমাদের এবার অনেক লোকসান হচ্ছে। আমরা অনেক ছাড় দিলেও ক্রেতারা আরও কম মূল্যে পণ্য কিনতে চাচ্ছেন। তাই এবার আমাদের অনেক মালামাল অবিক্রিত অবস্থায় ফেরত নিয়ে যেতে হবে। যদি মেলার সময় বাড়ানো হয় তাহলে লোকসান কিছুটা হলেও কম হবে।

Advertisement

আল আমিন নামের এক ক্রেতা বলেন, শীত না থাকায় এখন কোট কিনে আর কি করবো। যদি কম দামে পাই তাহলে আগামী বছরের জন্য কিনে রেখে দেবো। আশা করছি, শেষ দিনে আরও ছাড় পাওয়া যাবে। তাই সেদিন আবারও মেলায় আসবো।

মেলার পরিচালক বিবেক সরকার বলেন, গতবারের মতোই এবারের মেলায়ও ক্রেতা-দর্শনার্থীদের বেশি ভিড় রয়েছে। মেলায় আগত ক্রেতা-দর্শনার্থীদের জন্য আমাদের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। আশা করছি, শেষ কয়েকদিন মেলায় আরও মানুষের সমাগম ঘটবে। ২০ ফেব্রুয়ারি মেলা শেষ হবে বলে জানান তিনি।

দেশীয় পণ্যের প্রচার, প্রসার, বিপণন ও উৎপাদনে সহায়তার পাশাপাশি কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির উদ্দেশ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর যৌথ উদ্যোগে ১৯৯৫ সাল থেকে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা আয়োজন করা হচ্ছে। গতবারের মতোই এবারের মেলা প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়ে রাত ৯টা পর্যন্ত চলছে। সাপ্তাহিক ছুটির দিন চলবে রাত ১০টা পর্যন্ত। মেলায় প্রবেশ ফি ধরা হয়েছে বড়দের জন্য ৫০ টাকা, শিশুদের ২৫ টাকা।

রাশেদুল ইসলাম রাজু/এমআরএম/জিকেএস

Advertisement