ক্ষুদ্র উদ্যোগের কার্যকর উন্নয়নে পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ)-এর অর্জন তাৎপর্যপূর্ণ বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর (বাংলাদেশ ও ভুটান) আবদুলায়ে সেক।
Advertisement
পিকেএসএফ ভবনে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে বাস্তবায়িত সাসটেইনেবল এন্টারপ্রাইজ প্রজেক্ট (এসইপি)-এর সমাপনী অনুষ্ঠানে ১৮ ফেব্রুয়ারি তিনি এ মন্তব্য করেন। পিকেএসএফ থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ড. ফারহানা আহমদে, সচিব, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়, এ অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকার জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলা করে গত তিনি দশকে অর্জিত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রাখার বিষয়ে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছে। এসইপি প্রকল্পের অর্জন নিশ্চিতভাবেই দেশের অর্থনীতিতে সবুজ প্রবৃদ্ধি সঞ্চারের ক্ষেত্রে পরিপূরক হিসেবে কাজ করেছে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পিকেএসএফ-এর চেয়ারম্যান ড. এম. খায়রুল হোসেন। সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, এসইপি প্রকল্পের সহায়তাপ্রাপ্ত ক্ষুদ্র উদ্যোগের মাধ্যমে তিন লক্ষাধিক মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে, যাদের বেশিরভাগই নিম্ন আয়ের জনগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত।
Advertisement
তিনি বলেন, প্রকল্পের কল্যাণে কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি তাদের জীবনমানেরও উন্নতি হয়েছে। এমনকি প্রকল্প শেষ হয়ে গেলেও এসব ক্ষুদ্র উদ্যোগের আরও সম্প্রসারিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
স্বাগত বক্তব্যে পিকেএসএফ-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. নমিতা হালদার বলেন, ক্ষুদ্র উদ্যোগ উন্নয়ন বিষয়ক প্রথম প্রকল্প হিসেবে এসইপি-তে পরিবেশ সংরক্ষণের ধারণা অন্তর্ভুক্ত করা হয়। বিভিন্ন সহযোগী সংস্থার মাধ্যমে পিকেএসএফ বর্তমানে প্রায় দুই কোটি মানুষের দোরগোড়ায় অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থায়ন, প্রশিক্ষণ, ও কারিগরি সহায়তা পৌঁছে দিচ্ছে। টেকসইভাবে দারিদ্র্য দূরীকরণের যে সংকল্প নিয়ে পিকেএসএফ কাজ করে আসছে ক্ষুদ্র উদ্যোগ উন্নয়ন সে বিষয়ে কার্যকরি অবদান রাখতে সক্ষম হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বিভিন্ন সরকারি দপ্তর, পিকেএসএফ-এর সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধি, এসইপি-এর সহায়তাপ্রাপ্ত ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা ও পিকেএসএফ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ক্ষুদ্র উদ্যোগে পরিবেশগতভাবে টেকসই চর্চা রফতানিকরণের লক্ষ্য নিয়ে ২০১৮ সাল থেকে পিকেএসএফ সাসটেইনেবল এন্টারপ্রাইজ প্রজেক্ট বাস্তবায়ন করে আসছে। প্রকল্পের আওতায় ৬৫ হাজারের অধিক ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাকে আর্থিক, কারিগরি, দক্ষতা উন্নয়ন, প্রযুক্তি হস্তান্তর, ভ্যালু চেইন উন্নয়ন, বাজার সংযোগ ও ব্র্যান্ডিং সহায়তাসহ প্রয়োজনীয় বিভিন্ন সেবা দেওয়া হয়েছে।
Advertisement
এনএইচ/এমআরএম/জেআইএম