জার্মানির মিউনিখে তিনদিনের সরকারি সফর শেষে দেশের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
Advertisement
রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) স্থানীয় সময় রাত ৯টার দিকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে মিউনিখ ফ্রাঞ্জ জোসেফ স্ট্রস বিমানবন্দর ছাড়েন তিনি।
এসময় জার্মানিতে প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানান বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া।
সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় ফ্লাইটটি ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করার কথা রয়েছে।
Advertisement
আরও পড়ুন: ফিলিস্তিনবাসীর নিজস্ব রাষ্ট্র গঠনের অধিকার রয়েছে: শেখ হাসিনা
এর আগে জার্মানির মিউনিখ সিকিউরিটি কনফারেন্সে যোগ দিতে ১৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকা ছাড়েন প্রধানমন্ত্রী। মিউনিখ সিকিউরিটি কনফারেন্সের সভাপতির আমন্ত্রণে সেখানে যান তিনি। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়লাভের পর দেশের বাইরে এটিই প্রথম সরকারি সফর প্রধানমন্ত্রীর।
জার্মানিতে অবস্থানকালে মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন শেখ হাসিনা। পাশাপাশি তিনি বেশ কয়েকজন বিশ্ব নেতার সঙ্গে বৈঠক করেন।
এরমধ্যে রয়েছেন জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শোলৎজ, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কি, নেদারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুটে, আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ, কাতারের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান আল-থানি এবং ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী মেটে ফ্রেডেরিকসেন। তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
Advertisement
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার সঙ্গে জেলেনস্কির বৈঠক
এছাড়া এ সফরে জার্মানিতে বসবাসকারী প্রবাসী বাংলাদেশিদের একটি নাগরিক সংবর্ধনায়ও অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের উপায় খুঁজে বের করার আহ্বান জানান শেখ হাসিনা। একই সঙ্গে তিনি গাজায় হামলা বন্ধের আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যুদ্ধের মাধ্যমে অন্যরা উপকৃত হতে পারে। কিন্তু যুদ্ধলিপ্ত দেশগুলোর জন্য তা কল্যাণ বয়ে আনতে পারে না। যুদ্ধে দেশগুলোর জনগণকে ক্ষতিগ্রস্ত হতে হয়।’
জেডএইচ/জিকেএস