পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ রঙিন ফুলকপি চাষ করে লাভবান হয়েছেন কৃষক শফিকুল ইসলাম। তিনি প্রথমবারের মতো বেগুনি ও হলুদ ফুলকপি চাষ করে বাম্পার ফলন পেয়েছেন। শফিকুলের রঙিন ফুলকপি চাষের সফলতা দেখে আগামীতে আরও কৃষক রঙিন ফুলকপি চাষের স্বপ্ন দেখছেন।
Advertisement
উপজেলার দাশুড়িয়া ইউনিয়নের নওদাপাড়া গ্রামের কৃষক শফিকুল ইসলাম একটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা থেকে রঙিন ফুলকপির বীজ সংগ্রহ করে ১০ শতক জমিতে চাষ করেন। সাদা ফুলকপির মতো বেগুনি ও হলুদ জাতের ফুলকপির চাষপদ্ধতি ও খরচ একই।
শফিকুল ইসলামের ক্ষেতে রঙিন ফুলকপি কিনতে আসা নওদাপাড়া গ্রামের আল-আমিন বলেন, ‘প্রথমবারের মতো রঙিন ফুলকপি দেখে ভালো লাগছে। শুনেছি এ ফুলকপি সুস্বাদু ও পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ। তাই কিনতে এসেছি।’
একই এলাকার কৃষক আলতাব হোসেন বলেন, ‘শফিকুলের রঙিন ফুলকপি দেখতে প্রতিদিনই লোকজন আসছে। সাদা ফুলকপির চেয়ে এ ফুলকপি বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। আগামীতে আমরাও রঙিন ফুলকপি চাষ করবো। কীভাবে বীজ সংগ্রহ ও চাষ করতে হয় তা জেনেছি।’
Advertisement
আরও পড়ুন• মিরসরাইয়ে ফুলকপি চাষে লাভবান কৃষকেরা• ফেনীতে টমেটো চাষে ব্যাপক লাভের আশা কৃষকের
শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘প্রতি বছর সাদা ফুলকপি চাষ করলেও এবার ১০ কাঠা জমিতে বেগুনি ও হলুদ ফুলকপি চাষ করেছি। একটি এনজিওর সদস্য হওয়ায় সেখান থেকে পাঁচ হাজার টাকায় ১০ গ্রাম রঙিন ফুলকপির বীজ সংগ্রহ করি। তারা চাষপদ্ধতি ও পরিচর্যা সম্পর্কে ধারণা দিয়েছিলেন। প্রথমে ভেবেছিলাম অপরিচিত জাতের ফুলকপি চাষ করে হয়তো লোকসান হবে। এখন দেখছি, যা আশা করেছিলাম তার চেয়ে বেশি লাভ হয়েছে। আগামীতে আরও জমিতে চাষ করবো।’
ঈশ্বরদী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মিতা সরকার বলেন, ‘উপজেলায় ৯৫০ হেক্টর জমিতে ফুলকপি চাষ হয়েছে। রঙিন ফুলকপি খুব কম চাষ হয়েছে। ফুলকপি চাষিদের কৃষি অফিস থেকে পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করা হয়েছে। রঙিন ফুলকপি চাষে কৃষকদের বেশি লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’
শেখ মহসীন/এসইউ/জেআইএম
Advertisement