একুশে বইমেলা

বইমেলায় এলো আরও ৮৩ নতুন বই

অমর একুশে বইমেলা গড়িয়েছে ১৮তম দিনে। এই দিনে নতুন বই এসেছে ৮৩টি। এর মধ্যে শহিদ আজাদের কবিতার বই ‘ভালোবাসার পঙক্তিমালা-৪’, আদ্বিশ্বর ঘটকের ‘ফটোগ্রাফি শিক্ষা’, ড. আবু সাইয়িদের প্রবন্ধ ‘লন্ডন ষড়যন্ত্র’ রয়েছে।

Advertisement

রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বাংলা একাডেমির জনসংযোগ, তথ্যপ্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ বিভাগ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সোমবার মেলার সময়সূচি ও কার্যক্রম

সোমবার ৬ ফাল্গুন, অমর একুশে বইমেলার ১৯তম দিন। মেলা শুরু হবে বিকেল ৩টায় এবং চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত।

Advertisement

আলোচনা অনুষ্ঠান

এদিন বিকেল ৪টায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে স্মরণ। প্রসান আজিজুল হক শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন মোজাফ্ফর হোসেন। আলোচনায় অংশগ্রহণ করবেন ফারুক মঈনউদ্দীন এবং মহীবুল আজিজ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন অধ্যাপক শ্রীষ্মদেব চৌধুরী।

বইমেলায় আজ যা হয়েছে

আজ মেলা শুরু হয় বিকেল ৩টায় এবং চলে রাত ৯টা পর্যন্ত। আজ নতুন বই এসেছে ৮৩টি। বিকেল ৪টায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় স্মরণ। জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন স্বরোচিষ সরকার। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন লুভা নাহিদ চৌধুরী এবং এম আবদুল আলীম। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা কবি কামাল চৌধুরী।

Advertisement

প্রাবন্ধিক বলেন, জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান বাঙালি মুসলমানের আত্মপরিচয় নির্মাণবিষয়ক গবেষণাকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন বিভিন্ন সংকলনগ্রন্থ ও প্রবন্ধ রচনার মধ্যদিয়ে। তিনি তার প্রবন্ধগুলোতে এমন সব প্রসঙ্গ তুলে এনেছেন যা সমকালের মুসলমান বাঙালির হীনম্মন্যতা দূর করে, বাঙালির সমন্বিত সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকার সম্পর্কে সবাইকে অবহিত করে, সাংস্কৃতিক বহুত্বের মধ্যে উদার মানবিক দিকগুলোকে সামনে নিয়ে আসে।

আলোচকরা বলেন, জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান তার কর্মময় জীবনে জ্ঞান সৃষ্টি ও বিতরণের কাজে নিয়োজিত ছিলেন। রাষ্ট্রীয় ও জাতীয় নানা দুর্যোগে তিনি মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। পরিমিতিবোধ, অসাম্প্রদায়িক চেতনা, আন্তরিকতা ও মানুষের প্রতি ভালোবাসা তার জীবনচর্যা ও সৃষ্টিকর্মের মধ্যদিয়ে প্রতিফলিত হয়েছে। আজীবন তিনি বাঙালির সংস্কৃতির শেকড়ের সন্ধান করেছেন।

সভাপতির বক্তব্যে কামাল চৌধুরী বলেন, জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান বহুমাত্রিক ও বর্ণাঢ্য জীবনযাপন করেছেন। সমগ্র জীবনব্যাপী তিনি বাঙালির মুক্তি ও অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রের স্বপ্ন দেখেছেন এবং এই স্বপ্ন আমাদের সবার মাঝে সঞ্চারিত করেছেন। তিনি তার পাণ্ডিত্য, জ্ঞান ও কর্মের মধ্যদিয়ে তরুণ সমাজকে পথ দেখাবেন।

আজ লেখক বলছি অনুষ্ঠানে নিজেদের নতুন বই নিয়ে আলোচনা করেন কথাসাহিত্যিক মানিক মোহাম্মদ রাজ্জাক, শিশুসাহিত্যিক রোমেন রায়হান, কবি সৈকত হাবিব এবং গীতিকবি মনোরঞ্জন বালা।

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কবিতা পাঠ করেন কবি কামাল চৌধুরী, মুস্তাফিজ শফি প্রমুখ। আবৃত্তি পরিবেশন করেন আবৃত্তিশিল্পী মো. শওকত আলী, মো. এনামুল হক প্রমুখ। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে মামুনুর রশীদের রচনা ও নির্দেশনায় ‘কহে ফেসবুক’ নাটক পরিবেশন করে ‘আরণ্যক নাট্যদল’।

আরএএস/ইএ/জিকেএস