পাকিস্তানে নির্বাচনের পর ১০ দিন পার হতে চলেছে। কিন্তু আজও নিশ্চিত নয়, দেশটিতে সরকার গঠন করবে কারা। জোট গড়ার ঘোষণা দিলেও ক্ষমতা ভাগাভাগির বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেনি নওয়াজ শরিফের দল পিএমএল-এন এবং বিলওয়াল ভুট্টো জারদারির পিপিপি। ‘দেওয়া-নেওয়া’র শর্তে বারবার মুখ থুবড়ে পড়ছে দুই দলের আলোচনা।
Advertisement
জানা গেছে, পিপিপি পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টসহ গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সাংবিধানিক পদের বিনিময়ে সরকার গঠন এবং পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে পিএমএল-এনকে সমর্থনের আশ্বাস দিয়েছে। তবে কোনো মন্ত্রিত্ব নেবে না বলে ঘোষণা দিয়েছে তারা।
পিপিপির সূত্রগুলো জানিয়েছে, দলটি এখন পর্যন্ত সাংবিধানিক ও সংসদীয় পদগুলোর জন্য কারও নাম চূড়ান্ত করেনি। তবে পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের বর্তমান স্পিকার রাজা পারভেজ আশরাফই পদটিতে বহাল থাকবেন বলে আশা করা হচ্ছে। আবার, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানিও এই পদটি চান।
আরও পড়ুন>>
Advertisement
এর আগে, ১৯৯৩ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত বেনজির ভুট্টোর অধীনে পিপিপির দ্বিতীয় সরকারের সময় জাতীয় পরিষদের স্পিকার ছিলেন রাজা গিলানি।
যেসব শর্ত দিয়েছে পিপিপিসূত্র জানিয়েছে, গিলানি যদি স্পিকার নির্বাচিত হন, তবে সিনেটের যে আসনটি খালি হবে, সেটির নির্বাচনে পিএমএল-এনের সমর্থন চেয়েছে পিপিপি।
এছাড়া, গিলানিকে সিনেট চেয়ারম্যান পদেও বিবেচনা করা হতে পারে। তবে এর সবই নির্ভর করছে দুই দলের মধ্যে চলমান আলোচনার ফলাফলের ওপর।
সিসিসির আলোচনায় উঠে এসেছে প্রদেশগুলোর জন্য উন্নয়ন তহবিল বরাদ্দের বিষয়ও।
Advertisement
আরও পড়ুন>>
প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী হিসেবে শাহবাজকে মনোনয়ন দিলেন নওয়াজ বাবা আসিফ আলী জারদারিকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে চান বিলওয়ালসূত্র জানিয়েছে, নতুন সরকার প্রদেশগুলোতে, বিশেষ করে সিন্ধের ক্ষেত্রে বিনাবাধায় উন্নয়ন তহবিল ছেড়ে দেবে, পিএমএল-এন নেতৃত্বের কাছে এমন গ্যারান্টি চায় পিপিপি।
শোনা যাচ্ছে, পিএমএল-এনের জোট সরকারে অংশীদার হওয়ার শর্ত হিসেবে পাঞ্জাবেও ‘কিছুটা জায়গা’ চেয়েছে পিপিপি।
গত ৮ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে প্রদেশটিতে একক দল হিসেবে সর্বোচ্চ ১৩৭ আসনে জয়ী হয়েছে পিএমএল-এন। দলটি এরই মধ্যে নওয়াজ শরিফের মেয়ে মরিয়ম নওয়াজকে নতুন মুখ্যমন্ত্রী মনোনীত করেছে।
আরও পড়ুন>>
আইয়ুব খানের নাতিকে প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী করলেন ইমরান খান সরকার গড়তে না পারলে ‘শক্তিশালী বিরোধী দল’ হবে পিটিআইপাঞ্জাবের বিধানসভা নির্বাচনে ১০টি আসনে জিতে তৃতীয় হয়েছে পিপিপি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১১৬ আসনে জয়ী হয়েছেন পিটিআই-সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা।
সূত্র জানিয়েছে, বেলুচিস্তানে প্রাদেশিক সরকার গঠনের বিষয়েও দুই দলের মধ্যে আলোচনা হচ্ছে। পিপিপি বেলুচিস্তানের বৃহত্তম দল, দ্বিতীয় হয়েছে পিএমএল-এন। মজার ব্যাপার হলো, উভয় দলই প্রদেশটিতে নিজস্ব সরকার গঠনের দাবি করছে।
সূত্র: ডনকেএএ/