বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ফিশারিজ সোসাইটি অফ বাংলাদেশের (এফএসবি) ৩য় দ্বি-বার্ষিক আন্তর্জাতিক সম্মেলন শুরু হয়েছে।
Advertisement
শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০ ঘটিকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ নজরুল ইসলাম সম্মেলন কক্ষে দুই দিনব্যাপী ‘স্মার্ট অ্যাকোয়াকালচার অ্যান্ড ফিশিং ইন এচিভিং এসডিজি’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আয়োজন করেছে মৎস্য বিজ্ঞান অনুষদ। দুই দিনব্যাপী এ সম্মেলনে ১৭০ টি মৌখিক গবেষণা নিবন্ধ ও ৭০টি পোস্টার উপস্থাপিত হবে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এফএসবির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. সামছুল আলমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্সের সচিব রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) খুরশেদ আলম। অনুষ্ঠানের প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী। সম্মেলনে প্রায় ৩০০জন দেশি- বিদেশি বৈজ্ঞানিক অংশ নেন।
সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাকৃবির সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল ইসলাম, মৎস্য বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এ. কে. এম. নওশাদ আলম, বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের চেয়ারম্যান সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দার, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক নজরুল ইসলাম, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক ড. মোহসেনা বেগম তনু, কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ড. নাথু রাম সরকার।
Advertisement
এসময় উপাচার্য ড. এমদাদ বলেন, ‘এখনই সময় স্মার্ট কৃষি ট্যুল ব্যবহার করার। প্রযুক্তিতে পিছিয়ে পড়লে ভবিষ্যতে দেশের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হবে। দেশের কৃষিকে স্মার্ট করতে, স্মার্ট গ্রাজুয়েটের পাশাপশি স্মার্ট কৃষকও তৈরি করতে হবে। তবেই কৃষির প্রকৃত উন্নয়ন সম্ভব।’
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হলেও প্রাণিজ প্রোটিন চাহিদার ঘাটতি রয়েছে। মাছের প্রোটিন উৎপাদনে পরিবেশ দূষণ কমানো সম্ভব। এই সেক্টরে ফিশারিজ গ্রাজুয়েটরা বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। দেশীয় মাছের স্বাদের কারণে এর চাহিদাও প্রচুর। দাম বেশি হলেও মানুষকে দেশীয় মাছই কিনতে দেখা যায়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে এডমিরাল (অব.) মো. খুরশেদ আলম বলেন, বাণিজ্যিকভাবে ফিনফিশ, শেলফিশ এবং সামুদ্রিক শৈবালের মেরিকালচার ব্লু-ইকোনোমির অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। সম্প্রতি বাংলাদেশ মৎস্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ। দেশটি এখন বিশ্বব্যাপী অভ্যন্তরীণ উন্মুক্ত জলে মাছ উৎপাদনে তৃতীয় এবং বৈশ্বিক অ্যাকোয়াকালচার পদ্ধতিতে মাছ উৎপাদনে পঞ্চম স্থানে রয়েছে। বিশাল মৎস্য সম্পদকে বিজ্ঞানভিত্তিক ব্যবস্থার মধ্যে নিয়ে আসতে পারলে তা দেশের ব্লু-ইকোনোমিকে সমৃদ্ধ করবে।
এনআইবি/জেআইএম
Advertisement