খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রকে মারধরের প্রতিবাদে খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়কের জিরোপয়েন্ট এলাকা অবরোধ করেন ছাত্ররা। বাস শ্রমিকদের হামলার খবর বিশ্ববিদ্যালয় পৌঁছালে ছাত্ররা সম্মিলিতভাবে জিরো পয়েন্ট এলাকা অবরোধ করেন। পরে হামলাকারী বাস শ্রমিকদের গ্রেফতারের খবরে দুই ঘণ্টা পর অবরোধ তুলে নেন ছাত্ররা।
Advertisement
রোববার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টা থেকে এই অবরোধ শুরু হয়। হামলাকারী বাস শ্রমিকদেরকে পুলিশের হেফাজতে দেওয়া হয়েছে বলে সূত্র জানিয়েছে।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের ছাত্র এবং পুলিশ সূত্রে জানা যায়, খুবির বাংলা বিভাগের-১৯ ব্যাচের ছাত্র লাবণ্য সরদার নব্য তার মা ও বোনকে নিয়ে পাইকগাছা থেকে খুলনার ‘আগামী’ বাসে ওঠেন। বাসের মধ্যে জায়গা সংকুলান না হওয়ায় নব্য তার একটি পা বাসের প্যাসেজে রাখেন। এতে হেলপার ও সুপারভাইজারের সঙ্গে তার বচসা হয়। নব্য ফোনে বিষয়টি তার বন্ধুদের জানান। পরে নব্যর বন্ধু আসিফ নগরীর জিরো পয়েন্টে এসে বাসের চালক ও হেলপারেদর কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে বাস শ্রমিকরা একত্রিত হয়ে ছাত্রদের ওপর হামলা চালান।
এ খবর ছড়িয়ে পড়লে খুবির ছাত্ররা সকাল ১০ থেকে জিরোপয়েন্ট এলাকা অবরোধ করেন। আহত ২ ছাত্রকে খুবির হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
Advertisement
খবর পেয়ে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার এসি আবু নাসের আল আমিন, খুবির ছাত্র বিষয়ক পরিচালক মোহাম্মদ রকিবুল হাসান সিদ্দিকী, খুলনা জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ও খুলনার ১৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর জাকির হোসেন বিপ্লব জিরো পয়েন্টে এসে ছাত্রদেরকে জানান, তারা হামলাকারী বাস শ্রমিকদের গ্রেফতার করেছেন। তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে। এরপর দুপুর ১২টার দিকে ছাত্ররা অবরোধ প্রাত্যাহর করে নেন। কেএমপির সহকারী কমিশনার আবু নাসের বলেন, হামলাকারীদের গ্রেফতার করার খবর দেওয়ার পর ছাত্ররা অবরোধ তুলে নেয়। এই ঘটনায় মামলা হবে বলেও জানান তিনি।
এদিকে ছাত্রদের অবরোধে খুলনা থেকে প্রায় নয়টি রুটে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় নগরীর জিরো পয়েন্ট এলাকায় যানবাহনের দীর্ঘ লাইন পড়ে যায়।
আলমগীর হান্নান/এফএ/এমএস
Advertisement