আল্লাহ সুহাবাহানহু ওয়া তাআলা তার নবি মুসা (আ.) ও হারুনকে (আ.) যখন ফেরাউনের কাছে গিয়ে তাকে দীনের দাওয়াত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন, তিনি তাদের নির্দেশ দিয়েছিলেন নম্র ও কোমল ভাষা ব্যবহার করতে। কোরআনে আল্লাহ তার ওই নির্দেশের বিবরণ দিয়ে বলেন,
Advertisement
اِذۡهَبَاۤ اِلٰی فِرۡعَوۡنَ اِنَّهٗ طَغٰی فَقُوۡلَا لَهٗ قَوۡلًا لَّیِّنًا لَّعَلَّهٗ یَتَذَکَّرُ اَوۡ یَخۡشٰیতোমরা দুজন ফেরাউনের কাছে যাও, সে তো সীমালংঘন করেছে। তোমরা তার সাথে নম্রভাষায় কথা বলবে। হয়তো সে উপদেশ গ্রহণ করবে অথবা ভয় করবে। (সুরা ত্বহা: ৪৩, ৪৪)
অর্থাৎ আল্লাহ তার নবি মুসাকে (আ.) দাওয়াতের পদ্ধতি শিখিয়ে দিচ্ছেন যে, তাকে দীনের দাওয়াত দিতে হবে কোমল ও নম্র ভাষায়, তাহলে দাওয়াত ফলপ্রসু হতে পারে। সে উপদেশ গ্রহণ করতে পারে, আল্লাহভীরু হতে পারে। দাওয়াতে যদি রূঢ় ভাষা ব্যবহার করা হয়, তার বয়স ও সামাজিক অবস্থান অনুযায়ী তাকে সম্মান দেওয়া না হয়, তাহলে দাওয়াত ফলপ্রসু হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়।
আরেক আয়াতে আল্লাহ সুবাহানাহু ওয়াতাআলা হিকমত বা কৌশল ও সুন্দর ভাষায় তার দীনের দাওয়াতের নির্দেশ দিয়েছেন। বিতর্ক করলেও উত্তম ভাষায় বিতর্ক করার নির্দেশ দিয়েছেন। আল্লাহ বলেন,
Advertisement
اُدۡعُ اِلٰی سَبِیۡلِ رَبِّکَ بِالۡحِکۡمَۃِ وَ الۡمَوۡعِظَۃِ الۡحَسَنَۃِ وَ جَادِلۡهُمۡ بِالَّتِیۡ هِیَ اَحۡسَنُ اِنَّ رَبَّکَ هُوَ اَعۡلَمُ بِمَنۡ ضَلَّ عَنۡ سَبِیۡلِهٖ وَ هُوَ اَعۡلَمُ بِالۡمُهۡتَدِیۡنَতোমার রবের পথে হিকমত ও সুন্দর উপদেশের মাধ্যমে আহবান কর এবং সুন্দরতম পন্থায় তাদের সাথে বিতর্ক কর। নিশ্চয় একমাত্র তোমার রবই জানেন কে তার পথ ছেড়ে ভ্রষ্ট হয়েছে এবং হিদায়াতপ্রাপ্তদের তিনি খুব ভাল করেই জানেন। (সুরা নাহল: ১২৫)
এ দুটি আয়াত থেকে স্পষ্ট হয়, দীনের দাওয়াত দেওয়া ও দীনের পক্ষে বিতর্ক করতে হবে সুন্দর ও নম্র ভাষায়। প্রতিপক্ষ যতই উগ্র, ক্ষমতাদর্পী, বিভ্রান্ত বিশ্বাস ও চিন্তাধারার বাহক হোক না কেন, তার সাথে কথা বলতে হবে তার কল্যাণকামী হিসেবে। আল্লাহ চাইলে তাকে হেদায়াত দিয়েও দিতে পারেন।
ওএফএফ/জেআইএম
Advertisement