দেশজুড়ে

৮ ফাল্গুন যেন ঐতিহাসিক ভাষা শহীদ দিবস উদযাপন করা হয়: তৈমূর

তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার বলেন, আমি তৃণমূল বিএনপির পক্ষ থেকে দেশবাসীকে আহ্বান জানাবো ৮ ফাল্গুন যেন ঐতিহাসিক ভাষা শহীদ দিবস উদযাপন করা হয়। কারণ ফাল্গুন মাসটা বাংলাদেশের ভাষা আন্দোলনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

Advertisement

শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ শহরের মাসদাইর এলাকার মজলুম মিলনায়তনে তিনি এই আহ্বান জানান।শহরের মাসদাইর এলাকার মুসলিম একাডেমিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে শিক্ষার্থীদের মাঝে স্কুল ড্রেস বিতরণ করেন।

তৈমূর আলম খন্দকার বলেন, তৃণমূল বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা ফাল্গুনি চর্চা নামে সংগঠন করেছিলেন। আমরা সেই সংগঠনকেও তৃণমূল বিএনপির অঙ্গসংগঠন হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছি। এ ফাল্গুন মাসে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করা হয়েছিল। এই ফাল্গুন মাসের ৮ তারিখ শহীদ হয়েছিল। এই ফাল্গুন মাসেই মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাষানী শহীদদের গায়েবি জানাজার ইমামতি করেছিলেন।

তিনি আরও বলেন, এদেশের বুদ্ধিজীবী এবং আপামর জনগণ ফেব্রুয়ারি মাসকে ভাষা শহীদদের মাস হিসেবে বিবেচনা করে। আমি ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলতে চাই ভাষার মাস হিসেবে ফেব্রুয়ারিকে গণ্য না করে, ফাল্গুনকে গণ্য করা উচিত। একুশ মানে মাথা নত না করার পরিবর্তে ফাল্গুন মানে মাথা নত না করা হওয়া উচিত। কারণ একুশে ফেব্রুয়ারি একটা ইংরেজি দিনলিপি। ফাল্গুন হলো বাংলা ক্যালেন্ডার।

Advertisement

তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব বলেন, আমরা একুশের পরিবর্তে ৮ ফাল্গুনকে দিবস ভাষা দিবস হিসেবে চিহ্নিত করি তাহলে যারা শহীদ হয়েছেন তাদের প্রতি আরও শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে। কারণ তারা বাংলা ভাষার জন্য, বাংলার জন্য জীবন দিয়েছেন। আমাদের দেশে একটা নির্দিষ্ট অংশ মানুষ এখনও নিরক্ষর। স্বাধীনতার পর আমরা কেন্দ্রীয় নিরক্ষরতা দূরীকরণ সংস্থা গঠন করেছিলাম। এজন্য বিভিন্ন বস্তিতে আমাদের ১৯টি নৈশ বিদ্যালয় এবং বয়স্ক শিক্ষাকেন্দ্র চালু করা হয়েছিল।

যুবসমাজের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তৈমূর বলেন, আমি এদেশের যুবসমাজকে অনুরোধ করবো সবাই মিলে যেন আমরা এই দেশকে নিরক্ষরতামুক্ত করার জন্য কাজ করি। আমাদের আশপাশে যারা লেখাপড়া জানেন না, নিজস্ব উদ্যোগে তাদের অক্ষরজ্ঞান দান করি। এতে বাংলাভাষা সমৃদ্ধ হবে এবং ঐতিহাসিক ভাষা আন্দোলন আরও সফল হবে।

মোবাশ্বির শ্রাবণ/এনআইবি/এএসএম

Advertisement