পাকিস্তানে ভোট জালিয়াতি ও অনিয়মের অভিযোগ ক্রমেই প্রকট আকার ধারণ করছে, যা নিয়ে চলছে দেশে-বিদেশে তীব্র সমালোচনা। সবচেয়ে বড় অভিযোগ করা হয়েছে ইমরান খানের রাজনৈতিক দল তেহরিক-ই-ইনসাফের পক্ষ থেকে। এরই মধ্যে পাকিস্তানজুড়ে বিক্ষোভ শুরু করেছে তারা।
Advertisement
এমন পরিস্থিতির মধ্যেই ৮ জানুয়ারির নির্বাচনে কারচুপির কথা স্বীকার করে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন রাওয়ালপিন্ডির কমিশনার লিয়াকত আলী চট্টা।
আরও পড়ুন>পাকিস্তানে সরকার গঠন করবে কারা
তিনি প্রশ্ন করে বলেন, জাতিকে সত্যটা উন্মোচন না করে কেন আমি অইসলামিক পন্থায় মারা যাবো?
Advertisement
কমিশনার আমলাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, রাজনীতিবিদদের জয়ী করার জন্য কোনো পাপা করা উচিত নয়।
তার এলাকার আসনে যাকে পরাজিত ঘোষাণা করা হয়েছে তিনি ৫০ হাজার ভোটে এগিয়ে ছিলেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
পাকিস্তানে ভোট গ্রহণ শেষ হয় ৮ ফেব্রুয়ারি। এরপর চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশে সময় লাগে তিন দিন। কিন্তু এতে দেখা যায় এককভাবে সরকার গঠনের জন্য কোনো দলই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। এমনকি নির্বাচন পরবর্তী জোট গঠন নিয়েও জটিল পরিস্থিতির তৈরি হয়েছে। কোনো দলই ঐক্যমতে পৌঁছাতে পারছে না।
আরও পড়ুন>নির্বাচন বাতিল চেয়ে পাকিস্তানের সুপ্রিমকোর্টে আবেদন
Advertisement
তাছাড়া বড় ভোট কারচুপির অভিযোগ এনে এখনো বিক্ষোভ দেখাচ্ছে ইমরান খানের তেহরিক-ই-ইনসাফ। দলটির দাবি তাদের সমর্থিত প্রার্থীরা ১৫০টির বেশি আসনে জয় পেলেও তা কারচুপি করে ৯২টি করে দেওয়া হয়েছে। ফলে জোট গঠন করে কারা দেশটিতে নতুন সরকার গঠন করবে তা এখনো স্পষ্ট নয়।
সূত্র: দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন
এমএসএম