আইপিএলের শুরু থেকেই ফ্র্যাঞ্চাইজি ভিত্তিক এই টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের সাথে ছিলেন হার্শা ভোগলে। নবম আসরের নিলাম অনুষ্ঠানও পরিচালনা করেছেন তিনি। তবে নবম আসরের খেলায় আর শোনা যাবে না তার ধারাভাষ্য। টুর্নামেন্ট শুরুর কয়েকদিন আগে হার্শা ভোগলেকে ধারাভাষ্য থেকে বাদ দেওয়া হয়।আর এর পেছনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ ও ভারতের সেই শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচটিকেই দায়ী করা হচ্ছে। ঐ ম্যাচে হার্শা ভোগলে প্রশংসা করেছিলেন বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের, যা কি-না সহ্য করতে পারেননি অমিতাভ বচ্চন। সেদিনই তিনি টুইটারে লেখেন- `ভারতীয় ধারাভাষ্যকার ভারতীয় ক্রিকেটারদের প্রশংসা না করে প্রতিপক্ষ দলের হয়ে কথা বলছেন... ভারতীয় বোলারদের প্রশংসা করবে তা না, উনি ব্যাটসম্যানদের জন্য দুঃখ প্রকাশ করছেন...`। সেই টুইটারে নিচে ভারতীয় অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনিও লেখেন- `আমি আর কিছু যোগ করতে চাই না...।` ব্যস, ওই টুইটারের পরই আইপিএল থেকে ধারাভাষ্য প্যানেল থেকে ছাঁটাই করা হয়েছে হার্শা ভোগলেকে। তবে সেদিন অমিতাভের টুইটারেরও কড়া জবাব দিয়েছিলেন। বলিউডের বুড়ো অভিনেতার সদ্য ক্রিকেট প্রেম জেগে ওঠায় ভোগলে মনে করিয়ে দিয়েছিলেন- ভারতীয় দর্শকদের জন্য হিন্দি চ্যানেল রয়েছে। কেউ চাইলে ওই চ্যানেলে খেলা দেখতে পারেন। `বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের প্রশংসা করায় কেউ কেউ আমাকে সমালোচনা করেছেন। তাদের উদ্দেশেই বলতে চাই, স্টারস্পোর্টস-১ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের দর্শকদের জন্য খেলা সম্প্রচার করে। সেখানে আমাদের বাংলাদেশি সমর্থকরাও রয়েছে। স্টারস্পোর্টস-৩-এ হিন্দি ধারাভাষ্য দেওয়া হয়। সেটা কেবলই ভারতীয় দর্শকদের কথা মাথায় রেখে। তাই কেউ যদি শুধুই ভারতীয় ক্রিকেটের প্রশংসা শুনতে চায় সেটা চালু করে দেখতে পারে। আমি সারা বিশ্বের ক্রিকেটপ্রেমীদের জন্য কথা বলি। সেখানে বাংলাদেশিরা সেদিন দারুণ একটি ম্যাচ খেলেছিল, প্রশংসা তাদের প্রাপ্য। এটাকে কেউ অন্যভাবে দেখলে আমি তাদের বলব- সরি... আমি পারব না।` ভোগলের এই জোরালো কথাটিই ভালো লাগেনি ভারতীয় বোর্ডের, শাস্তি- আইপিএল থেকে ব্রাত্য!যদিও অফিসিয়ালভাবে সনি থেকে ভোগলের না থাকার কথাটি জানানো হয়নি। তবে ভোগলে নিজে টুইট করে তা নিশ্চিত করেছেন- `আইপিএলে অংশ নিতে পারলে ভালো লাগত।`এমআর/এবিএস
Advertisement