আন্তর্জাতিক

পাকিস্তানে সরকার গঠন করবে কারা

পাকিস্তানে ভোট গ্রহণ শেষ হয় ৮ ফেব্রুয়ারি। এরপর চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশে সময় লাগে তিন দিন। কিন্তু এতে দেখা যায় এককভাবে সরকার গঠনের জন্য কোনো দলই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। এমনকি নির্বাচন পরবর্তী জোট গঠন নিয়েও জটিল পরিস্থিতির তৈরি হয়েছে। কোনো দলই ঐক্যমতে পৌঁছাতে পারছে না।

Advertisement

তাছাড়া বড় ভোট কারচুপির অভিযোগ এনে এখনো বিক্ষোভ দেখাচ্ছে ইমরান খানের তেহরিক-ই-ইনসাফ। দলটির দাবি তাদের সমর্থিত প্রার্থীরা ১৫০টির বেশি আসনে জয় পেলেও তা কারচুপি করে ৯২টি করে দেওয়া হয়েছে। ফলে জোট গঠন করে কারা দেশটিতে নতুন সরকার গঠন করবে তা এখনো স্পষ্ট নয়।

কারণ নওয়াজ শরিফের পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজের দাবি তারা পাকিস্তান পিপলস পার্টির সঙ্গে জোট করে সরকার গঠন করবে। অন্যদিকে পিটিআই এর দাবি তারা সরকার গঠন করবে।

এমন পরিস্থিতিতে পিএমএল-এন নেতা খাজা সাদ রফিক বলেছেন, ৮ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে কেন্দ্রে সরকার গঠনের মতো সংখ্যাগরিষ্ঠতা কোনো দলই পায়নি।

Advertisement

আরও পড়ুন : 

নাভালনির মৃত্যু, পুতিনকেই দায়ী করলেন বাইডেন

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে এক বার্তায় তিনি বলেন, সংসদে নতুন সরকার গঠনের ক্ষেত্রে এখন সব দলেরই দায়বদ্ধতা রয়েছে।

তিনি বলেন, তেহরিক-ই-ইনসাফ সমর্থিত প্রার্থীদের উচিত পিপির সঙ্গে জোট করে সরকার গঠনে উদ্যোগ নেওয়া।

পিএমএল-এনের এই কাঁটার মুকুট মাথায় সাজানোর কোনো ইচ্ছা নেই বলেও মন্তব্য করেন রফিক।

Advertisement

আনুষ্ঠানিক ফলাফলে তেহরিক-ই-ইনসাফ সমর্থিত প্রর্থীরা ৯২ আসনে জয় পায়। নওয়াজ শরিফের দল ৭৫ ও পাকিস্তান পিপলস পার্টি ৫৪ আসনে জয় পায়। তবে সরকার গঠনের জন্য কোনো দলই এককভাবে সরকার গঠনের সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। তাই চলছে জোট নিয়ে আলোচনা।

তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) দাবি ৮ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে অন্তত ৮৫ আসনের ফলাফলে কারচুপি করা হয়েছে। এসব আসনে তাদের সমর্থিত প্রার্থীরা জয় পেয়েছিল।

সূত্র: ডন

এমএসএম