কেউ এসেছেন শিক্ষা সফরে। কেউ বন্ধুদের নিয়ে ঘুরতে। কেউ আবার ছুটির দিনে পরিবার নিয়ে এসেছেন। শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) মিরপুরের জাতীয় চিড়িয়াখানায় দেখা যায় মানুষের ভিড়। তাদের মধ্যে শিশু থেকে শুরু করে তরুণ-তরুণী ও বয়োবৃদ্ধরা রয়েছেন।
Advertisement
দুপুরে চিড়িয়াখানা ঘুরে দেখা যায়, ফটকে মানুষের ভিড়। সবাই ভেতরে প্রবেশের অপেক্ষায়। এদিকে অপর্যাপ্ত বসার জায়গা, চিড়িয়াখানায় প্রাণী কম, হকারের উৎপাতে বিরক্ত দর্শনার্থীরা।
দর্শনার্থীরা জানান, গরমের কারণে অনেক প্রাণী ঘুমিয়ে আছে। বাঘ, সিংহ ও ভল্লুক খাঁচার মধ্যে শুয়ে অলস সময় কাটাচ্ছে। দুপুরে রোদের তীব্রতা বাড়ায় প্রাণীদের পাশাপাশি দর্শনার্থীরাও গাছের ছায়া, লেকের পাড়ে বিশ্রাম নিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ছুটির দিনে পরিবার নিয়ে ঘুরে আসুন চিড়িয়াখানায়
Advertisement
বিনোদন কেন্দ্রটিতে অন্যতম আকর্ষণ ছিল জেব্রা, সাপ, বাঘ ও সিংহসহ বিভিন্ন পাখির খাঁচা। এছাড়া হরিণ শাবক, লামা, ময়ূর দর্শনার্থীদের বাড়তি আনন্দ দিয়েছে। হাতি, চিতা, বানর উল্লুকের খাঁচাগুলোর সামনেও ছিল ভিড়।
এদিকে বাসা থেকে খাবার এনে বেশিরভাগ দর্শনার্থীকে খেতে দেখা গেছে। পরিবার নিয়ে আসা অতিথিরা খোলার মাঠে খাবার খেয়েছেন। অন্যদিকে চিড়িয়াখানার ভেতরে ময়ূরী রেস্তোরাতে দর্শনার্থীর সংখ্যা ছিল কম।
আরও পড়ুন: রংপুরকে দুই বাঘ দিয়ে দুই জলহস্তি পেল চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা
গাজীপুরের চন্দ্রা জে এস এম নামের একটি স্কুল থেকে শিক্ষা সফরে এসেছেন অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী ও অভিভাবক।
Advertisement
সাইফুদ্দিন নিজাম নামের এক অভিভাবক জানালেন, স্কুল কর্তৃপক্ষ খাবারের আয়োজন করেছে। চিড়িয়াখানা থেকে কোনো খাবার কেনেননি।
রবি নামের একজন দর্শনার্থীর অভিযোগ, খাবারের দামের সঙ্গে মানের সামঞ্জস্য নাই।
দর্শনার্থীরা বলছেন, চিড়িয়াখানার পরিবেশ আগের চেয়ে কিছুটা উন্নত হয়েছে। তবে প্রাণী কম।
শ্যামলী থেকে চিড়িয়াখানায় ঘুরতে এসেছেন সিরাজুল রহমান দম্পতি। আরিফুর রহমান বলেন, শুক্রবারে চিড়িয়াখানায় ভিড় থাকে। তবে গরমে ঘোরাঘুরি করা অসুবিধা হয়ে পড়েছে।
জুরাইন থেকে মুসলিম উদ্দিন এসেছেন তার চার বছরের ছেলে সাইমকে নিয়ে। সাইম জানায়, গরমে ঘুরে ক্লান্ত হয়ে পড়েছে সে। বাঘ, সিংহ, হাতি, হরিণ সব খাঁচা ঘোরা হয়েছে তার।
এসএম/জেডএইচ/এমএস