খেলাধুলা

দিনের শেষ বলে উইকেটের পতন, কিউইদের দরকার আরও ২২৭ রান

দ্বিতীয় ইনিংসে ১৪১ বলে ১১০ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটার ডেভিড বেডিংহাম। তার দুর্দান্ত সেঞ্চুরির পরও মাত্র ২৩৫ রানেই অলআউট হয়ে গেছে প্রোটিয়ারা। ফলে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হোয়াইটওয়াশ করতে ২৬৭ রানের লক্ষ্য পেয়েছে নিউজিল্যান্ড।

Advertisement

জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৩.৫ ওভার ব্যাট করে ৪০ রান তোলে নিউজিল্যান্ড। কিন্তু তৃতীয় দিনের শেষ বলে উইকেট হারায় তারা। ফলে কিছুটা চাপে থেকেই দিন শেষ করেছে কিউইরা। দক্ষিণ আফ্রিকাকে হোয়াইটওয়াশ করতে স্বাগতিকদের প্রয়োজন আরও ২২৭ রান।

৪৪ বলে ১৭ রান করে আউট হয়ে গেছেন কিউই ওপেনার ডেভন কনওয়ে। ২১ রানে টম লাথাম অপরাজিত আছেন। আগামীকাল চতুর্থ দিনে কেন উইলিয়ামসনের সঙ্গে ব্যাট করতে নামবেন তিনি।

তবে জয়ের আশা আছে দক্ষিণ আফ্রিকারও। কারণ, প্রথম ইনিংসে নিউজিল্যান্ডকে ২১১ রানে গুটিয়ে দিয়েছিল তারা। সে হিসেবে ২২৭ রানের পুঁজি এখনো প্রোটিয়াদের হাতে আছে। এর মধ্যেই বাকি ৯ উইকেট নিতে হবে তাদের।

Advertisement

হোয়াইটওয়াশ এড়াতে হলে, দক্ষিণ আফ্রিকাকে নির্ভর করতে হবে বোলারদের উপর। সেক্ষেত্রে প্রোটিয়া বোলারদের অনুপ্রেরণা হতে পারে প্রথম ইনিংস।

প্রথম ইনিংসে ৩৬ রানের লিড পেয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। কিছুটা এগিয়ে থাকার কারণে মনে হয়েছে, আজ ব্যাট করে হয়তো স্বাগতিকদের বিপক্ষে বড় একটি পুঁজি দাঁড় করাতে পারবে প্রোটিয়ারা। তবে প্রথম ইনিংস বিবেচনায় লড়াই করার মতো একটি পুঁজি পেয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা।

আজ বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমেও শুরুর দিকে বড় কোনো জুটি করতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। ৩৯ রানের মাথায় ৩ উইকেট হারায় তারা।

চতুর্থ উইকেটে যুবায়ের হামজার সঙ্গে ১১৪ বলে ৬৫ রানের জুটি করেন বেডিংহাম। হামজা ৬৩ বলে ১৭ রান করে ওয়াগনারের বলে আউট হয়ে গেলে কিগান প্যাটারসেনের সঙ্গে আরও একটি জুটি করেন বেডিংহাম।

Advertisement

প্যাটারসেনের সঙ্গে বেডিংহামের জুটি থেকে আসে ১৩৭ বলে ৯৮ রান। এই দুই জুটিতেই লড়াই করার মতো একটি পুঁজি পায় প্রোটিয়ারা। পিটারসেন করেন ৭৯ বলে ৪৩ রান। ১২ বাউন্ডারি আর ২ ছক্কায় ১১০ রানের ইনিংস খেলে ও'রর্কের বলে ফিলিপসের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরত যান বেডিংহাম। অবশেষে ২৩৫ রানে থামে প্রোটিয়াদের দ্বিতীয় ইনিংস।

নিউজিল্যান্ডের হয়ে ৩৪ রান দিয়ে ৫ উইকেট শিকার করেছেন ও'রর্কে। অভিষেক ম্যাচেই ফাইফার পূর্ণ করলেন কিউই পেসার। প্রথম ইনিংসে ৪ উইকেট শিকারের সুবাদে পুরো ম্যাচে নিজের ঝুলিতে জমা হয়েছে মোট ৯ উইকেট।

নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেট ইতিহাসে অভিষেক ম্যাচে এটি সর্বোচ্চ উইকেট শিকার। এ তালিকায় দ্বিতীয়্স্থানে আছেন মার্ক ক্রেইগ। ২০১৪ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ১৮৮ রান খরচায় ৮ উইকেট শিকার করেছিলেন তিনি।

 

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

দক্ষিণ আফ্রিকা: ২৪২ ও ২৩৫ ( নেইল ব্রান্ড ৩৪, ক্লাইদ ফরটুইন ৩, রায়নার্ড ফন টন্ডার ১, যুবায়ের হামজা ১৭, ডেভিড বেডিংহাম ১১০, কিগান প্যাটারসেন ৪৩, রুয়ান ডি সোয়ার্ট ১, শন ভন বার্গ ২, ডেন পিট ২, ডেন প্যাটারসেন ৭; ও’রুর্ক ৫/৩৪, গ্লেন ফিলিপস ২/৫০, রাবিন্দ্রা ১/৫০, নেইল ওয়াগনার ১/৪২, হেনরি ১/১৫)।

নিউজিল্যান্ড: ২১১ ও ১৩.৫ ওভারে ৪০/১ ( টম লাথাম ২১*, ডেভন কনওয়ে ১৭; ডেন পিট ১/৩)।

এমএইচ/জিকেএস