খেলাধুলা

তামিমের পর ইনিংসের শেষে সাইফুদ্দিন ঝড়, চ্যালেঞ্জিং স্কোর বরিশালের

শুরুতে ঝড় তুলেছিলেন তামিম ইকবাল। পাকিস্তানি ওপেনার আহমেদ শেহজাদ এবং বাংলাদেশের সৌম্য সরকারকে কিছুক্ষণ করে সঙ্গী হিসেবে পেয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত ৪৫ বল খেলে ৭১ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেললেন তামিম।

Advertisement

তামিমের এই ঝড় সত্ত্বেও দুর্দান্ত ঢাকার বিপক্ষে ফরচুন বরিশালের স্কোর খুব বেশি বড় হবে না মনে হচ্ছিলো। তবে শেষ ওভারে হঠাৎ ঝড় তোলেন সাইফুদ্দিন। তার মাত্র ৬ বলে ২৩ রানের ওপর ভর করে ফরচুন বরিশালের স্কোর দাঁড়ালো ৬ উইকেট হারিয়ে ১৮৬ রানের।

বিপিএলের চট্টগ্রাম পর্বে রানের বন্যা বইবে, আগে থেকেই বলা হচ্ছিল। চট্টগ্রাম পর্বের প্রথম দিনই সেই রান বন্যার নমুনা দেখা গিয়েছিলো। দিনের প্রথম ম্যাচেই ২৩৯ রানের বিশাল স্কোর গড়েছিলো কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। দ্বিতীয় ম্যাচে ২১৯ রান করেছিলো রংপুর রাইডার্স।

সে ধারাবাহিকতায় আজও, ফরচুন বরিশাল বড় স্কোরের পথেই হাঁটছিলো। বিশেষ করে তামিম ইকবাল যেভাবে ব্যাট করছিলেন, তাতে বরিশালের স্কোর অনায়াসে ২০০ পার হয়ে যেতে পারতো। কিন্তু এক তামিম ছাড়া আর কোনো ব্যাটারই ঠিকমত দাঁড়াতে পারেনি দুর্দান্ত ঢাকার বোলারদের সামনে।

Advertisement

আহমেদ শেহজাদ, সৌম্য সরকার, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, শোয়েব মালিক কিংবা মুশফিকুর রহিম- কারো ব্যাটই সেভাবে হাসেনি। শেষ মুহূর্তে মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনের ব্যাট না হাসলে হয়তো ১৮৬ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোরটা হতোও না। ৬ বলে ২ বাউন্ডারি আর ২ ছক্কায় ২৩ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি।

তামিম আর শেহজাদের ব্যাটে শুরুতে ৭৬ রানের দারুণ একটি ওপেনিং জুটি গড়ে উঠেছিলো। ২২ বলে ২৪ রান করে এ সময় আউট হন শেহজাদ। ২৩ বলে ২৮ রান করেন সৌম্য সরকার। মাহমুদউল্লাহ আউট হন ১৩ রান করে। ৯ বলে ১০ রান করে অপরাজিত থাকেন শোয়েব মালিক।

দুর্দান্ত ঢাকার হয়ে ৩০ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন আলাউদ্দিন বাবু। তাসকিন আহমেদ নেন ২ উইকেট এবং ১টি নেন শরিফুল ইসলাম।

আইএইচএস/এমএমআর/এএসএম

Advertisement