চার দিগন্তে বন বনান্তেজনপদে পড়েছে সাড়া;পাতাঝরা শীতের শেষেউৎসবে মেতেছে ধরা!
Advertisement
ফাল্গুধারায় হলুদ ছোঁয়ায়সুর-লহরীর মূর্ছনায়;বনে-মৌবনে অঙ্গনে-কাননে ফুলেরা ডাকে ইশারায়।
হে অভিমানী প্রেয়সী সজনী কেন মলিন মুখে বসে? গা ঝাড়া দিয়ে জলদি এসোহলদে ফুলের শীষে।
আর নয় রোদন এসেছে লগননয় অভিসার সঙ্গোপনে;আবারও দুজনে মিলবো ক্ষণে এসো কবির কুঞ্জবনে।
Advertisement
আমি পড়বো পীত পাঞ্জাবিসফেদ ধবল ইজার!সুজানগরের আতরের ঘ্রাণেমৌ মৌ করবে ধার।
বাসন্তি রঙের জগলু শাড়িতেতেজী লালপাড়;সবুজের লোকজ নকশায় ফুটবেতোমার বসন্তের বাহার।
নানা গাঁদা ফুলের চাঁদা স্বহস্তে দেবো হেসে।রক্তগাঁদার মালা পড়াবোরাজগাঁদা গুঁজবো কেশে।
কানে শোভিত তারাজবাতুমি হাসলে দুলবে।মিনুটা গাঁদার হাতের রাখি নীরব স্বাক্ষী রইবে!
Advertisement
কোমল সবুজ ঘাসের গালিচায়আমরা বসবো পাশাপাশি। ফুলেরা রবে নীরব অনুভবেউল্লাসে নাচবে বীথি!
ঠমকে গমকে হাসবে তুমিমুখ যেন পূর্ণশশী।সেই হাসির আলোকচ্ছটায়ভুবন উঠবে উদ্ভাসি!
আমার পাঞ্জাবির এলো বোতাম ভালোবেসে দেবে সেঁটে!নানা কথার ফুলঝুরিতেতোমার হাতটি ধরবো এঁটে।
অকপটে সব মনের কথাফাল্গুনে বলবো তোমায়;শাড়ির আঁচল এলো কুন্তলওড়াবে দক্ষিণা বায়।
মৌন হয়ে কান পেতে শুনবোফুল-ফাল্গুনের গান।মন হারাবে প্রাণ জুড়াবেফাল্গুন হবে অফুরান।
হোক না বয়স ষাট-আশিফাল্গুন রেখো মনে।আমি থাকি বা না-ই থাকিমন হবে চনমনে।
এসইউ/এমএস