দেশজুড়ে

একুশে পদক পাচ্ছেন সিলেটের তিন গুণী

বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য সিলেটের তিন গুণীজনকে একুশে পদক দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

Advertisement

মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে। এ বছর দেশের ২১ জন বিশিষ্ট নাগরিককে একুশে পদক দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

একুশে পদকের তালিকায় থাকা সিলেটের তিনজনের মধ্যে রয়েছেন খ্যাতিমান সুরকার ও সংগীতশিল্পী বিদিত লাল দাস (মরণোত্তর), সংগীতশিল্পী শুভ্র দেব ও আবৃত্তিশিল্পী রূপা চক্রবর্তী।

জানা যায়, বিদিত লাল ১৯৩৮ সালের ১৫ জুন সিলেটের শেখঘাটে সম্ভ্রান্ত জমিদার লাল পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি লোকগানের শিল্পী ও সুরকার। বিদিত লাল হাছন রাজা, রাধারমণ দত্ত, ও গিয়াস উদ্দিনসহ অনেক লোকসংগীত শিল্পীদের গানের সুর করেছেন। লোকবিদের লোকগান সংগ্রহ ও সুর সংযোজনের মাধ্যমে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন বিদিত লাল দাস।

Advertisement

তিনি ১৯৬০ এর দশকের বেতার শিল্পী। তার সুরকৃত গানের মধ্যে উলে¬খযোগ্য হল ‘কারে দেখাবো মনের দুঃখ গো’, ‘সিলেট প্রথম আজান ধ্বনি’, ‘মরিলে কান্দিসনে আমার দায়’, ‘সাধের লাউ বানাইলো মোরে বৈরাগী’, ও ‘আমি কেমন করে পত্র লিখি’। তিনি সিরাজউদ্দৌলা, দ্বীপান্তর, তপসী, প্রদীপশিখা, বিসর্জন, ও সুরমার বাঁকে বাঁকে নাটকের সংগীত পরিচালনা করেছেন। তার সাফল্যের মধ্যে নজরুল একাডেমি পুরস্কার ও কলকাতায় ভারতীয় লোক সংবর্ধনা উল্লেখযোগ্য। ২০১২ সালের ৮ অক্টোবর তিনি ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। একুশে পদক পাওয়া সিলেটের আরেক কৃতিসন্তান শুভ্র দেব। তিনি সংগীতে একুশে পদক পেয়েছেন। শুভ্র দেব কাস্টঘর এলাকার বাসিন্দা। সিলেট সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র ছিলেন। শুভ্র দেব ২৬ আগস্ট ১৯৬৬ সালে সিলেটে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৭৮ সাল থেকে গান করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জৈবরসায়ন বিভাগ থেকে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৭৮ সালে বাংলাদেশ টেলিভিশনের ‘নতুন কুঁড়ি’ অনুষ্ঠানে গানের প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে তিনি প্রেসিডেন্ট পুরস্কার লাভ করেন। আবৃত্তি ক্যাটাগরিতে একুশে পদক পেয়েছেন রূপা চক্রবর্তী। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী রেজিস্ট্রার হিসেবে কর্মরত।

আহমেদ জামিল/এনআইবি/এএসএম