মুন্সিগঞ্জ সদরে নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীর সমর্থন করার জেরে শ্রমিকলীগ সভাপতিকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের নেতাদের বিরুদ্ধে।
Advertisement
মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) মুন্সিগঞ্জ জেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি আবুল কাশেম বাদী হয়ে মঙ্গলবার মুন্সিগঞ্জ সদর থানায় এমক অভিযোগ করেছেন। এরআগে সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে শহরের খালইষ্ট এলাকার পাসপোর্ট অফিসের সামনে এঘটনা ঘটে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সুরুজ মিয়া, শহর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও মুন্সিগঞ্জ পৌরসভার কাউন্সিল সাজ্জাদ হোসেন সাগর ও সাকিল নামের অপরআরেক জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৮-১০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন আবুল কাশেম। তবে অভিযোগ মিথ্যা দাবি করেছেন ছাত্রলীগ নেতা সাগর-সরুজ।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আবুল কাশেন মুন্সিগঞ্জ-৩ আসনে নৌকার প্রার্থীর সমর্থক ছিলেন। এ নিয়ে একই আসনের স্বতন্ত্র কাঁচি প্রতীকের প্রার্থীর সমর্থকদের সঙ্গে বিরোধ চলছিলো। সোমবার বিকেলে শহরের খালইষ্ট এলাকায় একাপেয়ে আবুল কাশেমের ওপর হামলা চালায় কাঁচি প্রতীকের প্রার্থী সমর্থক ছাত্রলীগ নেতা সুরুজ, সাকিল, সাগরসহ ৮-১০জন। এসময় তাকে কিল-ঘুষিসহ লাঠি দিয়ে বেধড়ক পেটানো হয়। এসময় কাশেমর চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।
Advertisement
এবিষয়ে আবুল কাশেম জাগো নিউজকে বলেন, নৌকার সমর্থন করায় আজ মারধরের শিকার হলাম। আমি এর বিচার চাই।
এবিষয়ে যোগাযোগ করা হলে অভিযোগ মিথ্যা দাবি করে শহর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন সাগর জাগো নিউজকে বলেন, সে যেস্থানের কথা বলেছে সেখানে সিসি ক্যামেরা আছে। ফুটেজ চেক করে দেখতে পারেন। তাকেও কোরআনে কসম করে জিজ্ঞাস করেন আমি মারধর করেছি কিনা। আমি ঘটনাস্থলেই ছিলাম না। নির্বাচনে হেরে যাওয়ায় আক্রশ থেকে সে অভিযোগ করছে।
সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সুরুজ মিয়া বলেন, অহেতুক তাকে মারতে যাবো কেনো। সিসিটিভি আছে। আমরা গতকাল নির্বাচন অফিসে ছিলাম। আমরা কোনো মারধর করিনি।
মুন্সিগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম বলেন, মারধরের বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Advertisement
আরাফাত রায়হান সাকিব/এনআইবি/জেআইএম