রক্তদানের চেয়ে বড় দান আর কিছু নেই উল্লেখ করেছেন সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত। তিনি বলেন, আমি চিকিৎসক হিসবে জানি একজন রক্তদাতা কত বেশি গুরুত্বপূর্ণ। রক্ত দেওয়ার যে শিক্ষাটা মেডিকেল কলেজে সন্ধানীরা সৃষ্টি করেছিল। বর্তমানে কোয়ান্টাম রক্তদানে একটা আলোড়ন ই সৃষ্টি করেছে। কোয়ান্টাম আসার পর তাদের নিয়েও অনেক কথা হলো। তবে তারা সত্যের সঙ্গে টিকে ছিল, তাই তারা মাথা উঁচু করেই টিকে আছে।
Advertisement
মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় রাজধানীর কাকরাইলে ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ (আইডিইবি) মিলনায়তনে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন আয়োজিত রক্তদাতা সম্মাননা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
নিজের গল্প তুলে ধরে সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত বলেন, ১৯৭০ সালে নির্বাচনের পর বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করবে কি না তা নিয়ে চলছিল ধোয়াশা। এই সময়টা বাঙালি ও বিহারিদের মাঝে নিয়মিত দ্বন্দ্ব লাগতো। তখন মাত্র মেডিকেলে ভর্তি হয়েছি। তখনো রক্তদান কী আমি জানি না। সেসময় এক বড় ভাই এসে নিয়ে যান, বলেন দাও রক্ত দাও। সেই থেকে শুরু, এর মাঝে ১৭ বার রক্ত দিয়েছি। একবার দুর্ঘটনা ঘটেছিল, চার মাস হওয়ার আগে সাত দিনের মাথায় আবার ব্লাড দিয়েছিলাম।
অনুষ্ঠানে রক্তদাতারা তাদের অভিজ্ঞতা তুলে করেন। এসময় ৫০ বারের রক্তদাতা নুর সাকলাইন নাবিদ বলেন, ১৮ বছর ধরে টানা রক্ত দিচ্ছি। এক বছর সার্জারির জন্য গ্যাপ দিতে হয়েছে। সম্প্রতি বিয়ে করেছি, এরপর বউকেও রক্তদানে উদ্বুদ্ধ করেছি। এখন স্বামী-স্ত্রী দুজনই রক্ত দেই।
Advertisement
তিনি আর বলেন, রক্তদান করতে গিয়ে আমি অনেক বেশি সম্মান পেয়েছি। অনেকে খুব যত্ন করেন, নিয়মিত খোঁজখবর নেন, এসব ভালো লাগে।
এএএম/ইএ