তার ক্যারিয়ার শুরু হয়েছে সেই ১৯৯৭-৯৮ সালে। যখন পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে খেলতেন। দক্ষিণ আফ্রিকায় পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে বিশ্বকাপও খেলতে গিয়েছিলেন। পাকিস্তানের ঘরোয়া লিগে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলেছেন। কিন্তু পাকিস্তান জাতীয় দলে সুযোগ পাচ্ছিলেন না। ঘটনাচক্রে গিয়ে থিতু হন দক্ষিণ আফ্রিকায় এবং ২০১১ সালের দক্ষিণ আফ্রিকা জাতীয় দলের হয়ে খেলা শুরু করেন।
Advertisement
টি-টোযেন্টি দলে জায়গা পেয়েছেন আরও দুই বছর পর, ২০১৩ সালে। কিন্তু ইমরান তাহির ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেট খেলছেন টি-টোয়েন্টি যুগ শুরু হওয়ার পর থেকেই। তার প্রোফাইল ঘাঁটলেই বোঝা যায়, বিশ্বব্যাপি কতটা জনপ্রিয় তিনি এবং কত বেশি চাহিদা তার। ইমরান তাহিরের ক্যারিয়ার দেখলেই বোঝা যায় সেটা। ২৫টিরও বেশি ক্লাব এবং ফ্রাঞ্চাইজিতে খেলেছেন তিনি। এখনও খেলে যাচ্ছেন।
জাতীয় দল ছেড়েছেন ৫ বছর আগে। বয়স হয়ে গেছে তার প্রায় ৪৫। এখনও দিব্যি ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেট খেলে যাচ্ছেন। রংপুর রাইডার্সের হয়ে যখন খেলতে এলেন, ইমরান তাহিরের নামের পাশে শোভা পাচ্ছিলো ৪৯৬ উইকেট।
অর্থ্যাৎ, ৫০০ উইকেটের অসাধারণ মাইলফলকে পৌঁছাতে ইমরান তাহিরের প্রয়োজন ছিল ৪টি উইকেট। ঢাকার মিরপুরে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে ১টি উইকেট পেয়েছিলেন তিনি। চট্টগ্রামে আজ খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে এবারের বিপিএলে দ্বিতীয় এবং শেষ ম্যাচ খেললেন তাহির। এখান থেকে সোজা চলে যাবেন পাকিস্তানে, পিএসএল খেলার জন্য।
Advertisement
রংপুরের হয়ে শেষ ম্যাচটাকে রীতিমত রাঙিয়ে দিলেন তিনি। খুলনার উইকেটগুলো টপাটপ তুলে নিলেন। ৩ উইকেট নেয়ার পরই টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে (ফ্রাঞ্চাইজি এবং আন্তর্জাতিক মিলিয়ে) ৫০০তম উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করলেন তিনি। এরপর আরও দুটি উইকেট নিলেন ইমরান তাহির। ক্যারিয়ারে হয়ে গেলো ৫০২ টি-টোয়েন্টি উইকেট।
আর উইকেট পাওয়ার আনন্দ উদযাপন তো তার সেই আগের মতোই আছে। দুই হাত উঁচিয়ে পাগলের মতো এক দৌড়। যেন বিশ্বকাপটাই জিতে ফেলেছেন তিনি। নতুন যোগ হয়েছে তাতে, ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর মতো উদযাপন নিজেই ইমরান তাহির জানিয়েছেন, ‘ছেলে রোনালদোর বড় ভক্ত। সে চায় তার বাবাও তেমন উদযাপন করুক। এ কারণেই আমিও রোনালদোর মতো উদযাপন করি।’
খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে আজ যে ৫টি উইকেট তাহির নিলেন, প্রতিটির উদযাপনের শেষেই দেখা গেছে, রোনালদোর মতো তাহিরের সেই বিশেষ উদযাপন।
আইএইচএস/ইএ
Advertisement