খেলাধুলা

সবার আগে সেরা একাদশ গঠন করবো: লিপু

তিনি জাতীয় দলের নতুন প্রধান নির্বাচক, এ ঘোষণা এসেছে আগের রাতে (সোমবার)। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব বুঝে নেননি এখনও।

Advertisement

তবে তিনি কিভাবে ক্রিকেটার নির্বাচন করবেন, তার দল সাজানোর কৌশলটা হবে কেমন, নতুন প্রধান নির্বাচক হবার পর আজ মঙ্গলবার দুপুরে বিসিবিতে প্রথম এসেই তা জানিয়ে দিলেন গাজী আশরাফ হোসেন লিপু। জাতীয় দলের প্রথম ওয়ানডে অধিনায়ক বলেন, ‘যখন দল নির্বাচন করবো, তখন সবার আগে সেরা ১১-১২ নির্বাচন করবো। তারপর বাকি তিনজন নির্বাচন করব, যাতে খুব ভালো কনসেপশন থাকে।’ ভাববেন না, এটুকুই শুধু গাজী আশরাফ হোসেন লিপুর পরিকল্পনা। সেই খেলোয়াড়ি জীবন থেকে শুরু। অধিনায়ক, ক্রিকেট ম্যানেজার, ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান যখনই যে দায়িত্ব পেয়েছেন, লিপু বরাবরই ‘ক্যালকুলেটিভ।’ ভেবেচিন্তে ও হিসেব করে আগানোই তার স্বভাব। তাই জাতীয় দলের ব্যাটার নির্বাচনেও একটি নির্দিষ্ট ছক অনুসরণ করার পক্ষে লিপু। তিনি চান, যে ব্যাটার ঘরোয়া ক্রিকেটে যেখানে খেলে সফল, যার ব্যাট যত নম্বর পজিশনে হাসে, তাকে জাতীয় দলেও ঠিক সেখানেই খেলাতে। তার অনুভব, আগের বছর জাতীয় দলের ব্যাটিং অর্ডার তথা ব্যাটিং পজিশনে অনেক নড়াচড়া হয়েছে। তা দেখে তার মনে হয়েছে, ব্যাটিং অর্ডার ঘন ঘন না পাল্টে যতটা সম্ভব একই পজিশনে খেলানোর ব্যবস্থা করা ভালো। এ চিন্তা থেকেই লিপুর মুখে এমন কথা, ‘লাস্ট ইয়ারে ব্যাটিং অর্ডার-আমরা দেখেছি যে আপস অ্যান্ড ডাউন অনেক বেশি হয়েছে। সেই জায়গাতে সেই খেলোয়াড় যদি সফল না হয়, তাহলে বিকল্প একজন খেলোয়াড় সেখানে সুযোগ পেতে পারে। এবং প্যারালালি চাইবো ওই ক্রিকেটার বা ব্যাটার ঘরোয়া ক্রিকেটেও একই পজিশনে যেন ব্যাট করে।’ লিপু চান ক্লাব ক্রিকেট থেকে ক্রিকেটারদের জাতীয় দলের জন্য গড়ে তুলতে। ক্লাব ক্রিকেটে যিনি যে পজিশনে খেলেন, তাতে সফল হলে তাকে জাতীয় দলেও সেই সব জায়গায় সেট করার কথা ভাবছেন নতুন চিফ সিলেক্টর। সেই চিন্তা থেকে তার ব্যাখ্যা, ‘জাতীয় দলে চার থেকে পাঁচ নম্বর পজিশনে ব্যাট করার পারফরমারই বেশি। যে ৬-৭ এ ব্যাটিং করবে, সেই ফিনিশের জন্য ভালো হবে।’ নতুন প্রধান নির্বাচক চান ক্লাব ক্রিকেট থেকে এমন এক পরিবেশ তৈরি করতে। আর তাই বলেছেন, ‘এই রকম একটা এনভায়রনমেন্ট ক্লাব ক্রিকেটে তৈরি করা যায় কিনা, সে চেষ্টা করা দরকার।’

এআরবি/এমএমআর/এমএস

Advertisement