সন্ধ্যায় যখন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি এবং ওয়ানডে সিরিজের জন্য দল ঘোষণা করা হচ্ছিলো, তখন চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে রংপুর রাইডার্সের হয়ে খেলতে নেমেছেন সাকিব আল হাসান। তখনই জানা গেছে, লঙ্কানদের বিপক্ষে এই দুই সিরিজের কোনোটিতেই নেই সাকিব।
Advertisement
ঠিক একই সময়ে খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে ব্যাট করতে নেমে রীতিমত ঝড় তুলে দিয়েছেন বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার। নাসুম আহমেদের করা ইনিংসের ৬ষ্ঠ ওভারে একের পর এক বলকে বাউন্ডারির বাইরে পাঠিয়েছেন তিনি।
এক ওভারে তিনবার বিশাল তিনটি ছক্কা এবং দুইবার বাউন্ডারি মেরে মোট ২৬ রান তুলে নেন রংপুরের এই ক্রিকেটার। সাকিব হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ২০ বলেই।
সপ্তম ওভারে মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধের করা চতুর্থ বলটিকে লং লেগে ছক্কা মারতে যান সাকিব। বল উঠে যায় আকাশে। ফিল্ডার ছিলেন নাহিদ রানা। কিন্তু সহজ ক্যাচও তালুবন্দী করতে পারলেন না তিনি। ৪৬ রানের মাথায় নিশ্চিত আউট হওয়া থেকে বেঁচে যান সাকিব।
Advertisement
অষ্টম ওভারের চতুর্থ বলে সেই নাহিদ রানাকেই বাউন্ডারি মেরে ২০ বলে হাফসেঞ্চুরির মাইলফলক ছুঁয়েছেন সাকিব আল হাসান।
হাফসেঞ্চুরি পূরণের পর কিছুটা স্লো হয়ে যান তিনি। এরপর খেলেন আরও ১১টি বল। তাতে রান করেছেন ১৭। একটি ছক্কা এবং ২টি বাউন্ডারি মেরেছেন। শেষে ১২তম ওভারের দ্বিতীয় এবং নিজের ইনিংসের ৩১তম বলে লুক উডকে খেলতে গিয়ে শর্ট লেগে ক্যাচ দেন এভিন লুইসের হাতে। ৬৯ রান করে আউট হন সাকিব।
বিপিএলের শুরু থেকে খুবই নিষ্প্রভ ছিলেন। বল হাতে যা তা, ব্যাট হাতে একেবারেই ব্যর্থ ছিলেন তিনি। চোখের সমস্যায় বল ঠিকমত দেখতে পাচ্ছিলেন না বলে মাঝে সিঙ্গাপুরও গিয়েছিলেন।
শেষ পর্যন্ত দুর্দান্ত ঢাকার বিপক্ষে ফর্মে ফেরেন তিনি। ৩৪ রান করার পাশাপাশি ১৬ রানে ৩ উইকেট নিয়ে হলেন ম্যাচ সেরা। পরের ম্যাচে ১৬ বলে করেন ২৭ রান। বল হাতেও নেন ২ উইকেট। টানা তৃতীয় ম্যাচে ঝোড়ো ব্যাটিং করলেন এই অলরাউন্ডার।
Advertisement
আইএইচএস/এমএমআর/এমএস