জাতীয়

হজ নয়, সরকারি কর্মচারীদের সৌদি পাঠানো হয় হাজিদের খেদমতে

হজ মৌসুমে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের হজের উদ্দেশে পাঠানো হয় না উল্লেখ করে ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খান বলেছেন, হজ ব্যবস্থাপনা ও হাজিদের সেবা প্রদানে বিভিন্ন টিমে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পাঠানো হয়।

Advertisement

মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য মুহম্মদ সাইফুল ইসলামের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ তথ্য জানান।

ঢাকা-১৯ আসনের এমপি সাইফুল তার প্রশ্নে বলেন, প্রতি বছর সরকারি কর্মকর্তা/কর্মচারীরা সরকারি টাকায় হজে যান। সরকারি টাকা/অর্থ জনগণের টাকা। অন্যের টাকায় হজ সঠিক হইবে কি না? এবং যেসব কর্মকর্তা/কর্মচারী হজে যান তারা হাজিদের কতটুকু খেদমত করেন?

জবাবে ধর্মমন্ত্রী বলেন, হজ ব্যবস্থাপনা ও হাজিদের সেবা প্রদানের দায়িত্ব পালনের জন্য বিভিন্ন টিমে সরকারি কর্মকর্তা/কর্মচারীদের সৌদি আরবে পাঠানো হয়। বাংলাদেশি হাজিদের চিকিৎসাসেবা দেওয়ার উদ্দেশে পরিচালিত হয় মেডিকেল সেন্টার ও ক্লিনিক। মিনা-আরাফা, মুজদালিফা-জামারা এবং মক্কা ও মদিনায় হাজিদের সেবার উদ্দেশ্যে সরকারি কর্মকর্তা/কর্মচারীরা (হজ প্রতিনিধি টিম, হজ প্রশাসনিক টিম, হজ মেডিকেল টিম, হজ কারিগরি টিম এবং হজ প্রশাসনিক সহায়তাকারী) বিভিন্ন টার্মে সৌদি আরবে প্রেরণ করা হয়। সরকারি টাকায় হজ করতে তাদের পাঠানো হয় না।

Advertisement

আরও পড়ুন>> হজের খরচ কমালো সৌদি আরব

মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল ও বয়স্ক হাজিদের চিকিৎসা সেবাসহ সব ক্ষেত্রে টিমের সদস্যরা হাজিদের যথাযথ খেদমত করেন। দায়িত্ব পালনে অবহেলা করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হয়।

স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য মহিউদ্দিন মহারাজের প্রশ্নের জবাবে ধর্মমন্ত্রী জানান, সারাদেশে প্রায় তিন লাখ মসজিদ রয়েছে। এসব মসজিদের ইমাম-মুয়াজ্জিনের সংখ্যা প্রায় ৭ লাখ। বর্তমান অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে এই বৃহৎ জনবলের ভাতা দেওয়া আপাতত সম্ভব নয়। ভবিষ্যতে এ বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।

সোহরাব উদ্দিনের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, সরকারের নীতি আদর্শের কারণে দেশে ধর্মীয় সম্প্রীতির উন্নতি হচ্ছে।

Advertisement

আইএইচআর/এমএইচআর/জেআইএম